ঢাকাSunday , 29 September 2024
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপন

  • অতিবৃষ্টিতে খুলনাঞ্চলের কৃষকদের প্রায় ৭শ’কোটি টাকার ক্ষতি! 

    দেশ চ্যানেল
    September 29, 2024 5:39 am
    Link Copied!

    বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:

    এবার বর্ষার মৌসুম শুরুর আগের থেকেই ক্রমান্বয়ে ধাপে ধাপে অনা বৃষ্টি ঘূর্ণিঝড় সাথে নদীতে পানির প্রবল চাঁপে খুলনা জেলার দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য ভেড়িবাঁধ ভেঙে বসতবাড়িসহ আবাদি জমি প্লাবিত হয়ে নষ্ট হয়েছে মাঠে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির রবিশস্য। তারমধ্য বেশি ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে রূপা আমন ধান। একই সাথে কৃষকদের ক্ষেতে যে সকল ফসলাদি নষ্ট হয়েছে তার মধ্য অধিকাংশ ফলনধরা ফসল এবং বেশ কিছু অপরিপক্ক চাড়াবাদ সবজি। ফলে কৃষকরা সে সকল ফসল বাজারজাত করার আগেই বৃষ্টি ও নদীর পানি মিলে তলিয়ে পঁচে নষ্ট হয়ে খুলনা দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের প্রায় ৭শ’ কোটি টাকার ক্ষতির তথ্যটি স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ এর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে স্থানীয় কৃষকসহ এলাকার পানিতে তলিয়ে থাকা সাধারণ মানুষদের অভিযোগ (পাউবো) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কারণ দক্ষিণ অঞ্চল জুড়ে ঝড় বৃষ্টি ও পানির প্রবল ধাক্কায় উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি ভেরিবাঁধ ভেঙে লোকালয় ও ফসলি ক্ষেতে পানি ঢুকে যেমন ক্ষতি করেছে বসতবাড়ির তেমন ক্ষতি হয়েছে রবিশস্য আবাদি ফসলের। তবে ভেরিবাঁদ সংস্কার করার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ভেঙে যাওয়া ভেরীবাঁদ সংস্কারের ক্ষেত্রে মননিবেশ একেবারেই উদাসীন। যার দরুন বাঁচার তাগিদে স্থানীয় জনগণ নিজস্ব উদ্যোগে ভেঙে যাওয়া ভেরিবাঁদগুলো সংস্কারের চেষ্টায় কার্যক্রম যখন শেষ পর্যায়ে ঠিক ওই মুহূর্তে লোক দেখানো কিছু কাজ দৃশ্যমান করতে প্রকল্পের কর্তারা নিজেদের বিভিন্ন গণমাধ্যমে হাইলাইট করার জন্য বেশি ব্যস্ত হয়ে ওঠে।তবে ভুক্তভোগী এলাকার জনগণদের তদারকিতে কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলেও পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়া যায় না পানির উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের।

    পাশাপাশি খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞকর্তা বলেন ভাদ্রের শেষ ও আশ্বিন এর প্রথম সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার নদীর ভেরিবাঁধ ভেঙে মৎস্য ও কৃষি খাতে বহু দিক থেকে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেছেন গত সপ্তাহে চার দিন টানা বর্ষণের সদর উপজেলা এলাকার শ্মশানঘাটের পাশে বেতনা নদীর ভেড়ি বাঁধ ভেঙে দুই উপজেলা ৩ টি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ভেসে যায় এসব গ্রামের ফসলি ক্ষেত পুকুর ও মৎসঘের। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায় বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বেতনা নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধ সংস্কার করতে পারেনি। ফলে লোকালয়ে পানি ঢোকা এখনো অব্যাহত আছে। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়া প্রায় ৫০ টি গ্রামের মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে আছে বাড়ি ঘরে পানি ওঠায় অনেকেই ছেড়েছে এলাকা। এছাড়া বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার ২০ থেকে ২৫ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার পুকুর ঘের আমন ধান ও শাকসবজির ক্ষেত। খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার ঘের ব্যবসায়ী বদরুজ্জামান বলেন আমার ১২০ বিঘা জমির তিনটি ঘের রয়েছে সব কয়টায় চাষ করা হয়েছিল সাদা মাছ বৃষ্টিতে সবগুলো ঘের তলিয়ে গেছে সব মিলিয়ে আমার প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে দাকোপ কামিনি রসিয়ার নরেশ বিশ্বাস বলেন আমি প্রতিবছর আমার আট দশ বিঘা জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি ও মরিচের চাষ করি সে ক্ষেত্রে প্রায় আমি খাইয়ে খরচ দিয়েও দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখতে পারি কিন্তু এবছর তার উল্টো ঘটেছে সব ফসলাদি পঁচে গেছে এবং সমিতির কাছেও আমি দিনা হয়ে রয়েছি এখন আমি ঋণগ্রস্ত হয়ে অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। এখানকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায় চলতি আমন মৌসুমে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ৫ হাজার ৪৫২ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে এর মধ্যে ১৪৯ সেক্টর সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন চলতি আমন মৌসুম অতিবৃষ্টিতে ৫ হাজার ৪শ’ ৫২ হেক্টর জমি আক্রান্ত হয়েছে এর মধ্যে ১৪৯ সেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    এর বাজার মূল্য ৯ কোটির বেশি এখনই জলবদ্ধতা নিষ্কাশন করতে না পারলে ক্ষতি আরো বাড়বে। পাশাপাশি জেলা মৎস্য অফিসার আনিসুর রহমান তথ্য দিয়েছেন অতিবৃষ্টি জনিত কারণে জেলার সাতটি উপজেলায় বিশেষ করে শ্যামনগর ও সাতক্ষীরা সদরে বেতনা নদীর একটা অংশ ভেঙে যাওয়ার কারণে তার আশপাশের ঘের গুলো একেবারে পানির সাথে মিশে গেছে। এখানে আমাদের মোট ৫ হাজার ২৩০ সেক্টর এরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এতে মৎস্য চাষীদের প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। আবার অবকাঠামোগত যে ক্ষতি হয়েছে সেটিও ৪ কোটি টাকার অধিক। এ ক্ষতির হাত থেকে চাষীদের রক্ষা করতে সহজ শর্তে যদি ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতো অথবা তাদের প্রণোদনার আওতায় আনা গেলে চাষীরা পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর আবারো নতুন করে দুঃসংবাদ দিয়ে জানান দিয়েছে চলমান প্রতিকূল বর্ষা পুরো সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে তো থাকবেই পাশাপাশি অক্টোবরের ১-২ তারিখ পর্যন্ত আবহাওয়ার বৈরী পরিস্থিতি বলবৎ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST