মোঃ আশরাফুল ইসলাম.দেশে অনাবৃষ্টির অস্বাভাবিক আবহ বিরাজ করছে। ফলে ক্রমেই বাড়ছে গরমের তীব্রতা। গত কয়েক মাস যাবত দেশে অনাবৃষ্টির ধারাবাহিকতা চলছে।
প্রকৃতির এই অস্বাভাবিক আবহে বিরূপ প্রভাব পড়ছে ফল-ফসলের আবাদ,উৎপাদন এবং পরিবেশ-প্রাণ ও প্রকৃতিতে। যাতে দেশে খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেননা এখনো পুরোদমে শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর-জলাশয়সহ পানির উৎসগুলো শুকিয়ে গেছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানির সেসব উৎস পরিপূরণ বা পুনর্ভরণ হচ্ছে না।ফলে এই অনাবৃষ্টির আবহে সারাদেশে দিন দিন বাড়ছে গরমের তীব্রতা ।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে গত বছর ডিসেম্বর মাসে সারা দেশে বৃষ্টিপাতে ঘাটতি ছিল ৯১ শতাংশ। নভেম্বর মাসে সারা দেশে বৃষ্টিপাতে ঘাটতি ছিল ৮৬ শতাংশ ও অক্টোবরে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ঊর্ধ্বে রয়েছে। চলতি মার্চ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মার্চ মাসে বঙ্গোপসাগরে কোন ঘূর্ণিঝড় বা নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ মাসের শেষের দিকে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে এক থেকে দু’টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশে ২ থেকে ৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় সংঘটিত হতে পারে।