মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলায় বৈদ্যের-বাজার ইউনিয়নের আমান ইকোনমিক জোন সংলগ্ন হাড়িয়া উত্তর চৌধুরীপাড়া এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।পূর্ব শত্রুতার জের ধরে, ০৬/০৩/২৪ইং(বুধবার)আনুমানিক রাত প্রায় ০৯:১০মিনিটের দিকে উপজেলার বৈদ্যের- বাজার ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মামুন তার বাহিনী নিয়ে হারিয়া উত্তর চৌধুরীপাড়ার হুমায়ন সহ ছাত্রলীগ নেতাদের উপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।মামুন বাহিনীর অতর্কিত ঘটনার হামলায় বৈদ্যের-বাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সিফাতসহ আরো
৮/৯জনগুরুতর আহত হন।ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সিফাত সূত্রে জানা যায়ঃইউপি সদস্য মামুন ও সিফাত পূর্ব থেকেই একে অপরের সঙ্গী ছিলেন এবং সিফাতের ছোট চাচা হুমায়ুনের সাথে ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে বুধবার রাত আনুমানিক ০৯ঃ১০ মিনিটের দিকে আমান ইকোনমিক জোন সংলগ্ন তাদের বাড়ির অদূরবর্তী রাস্তার পাশে সিফাত সহ কয়েকজনের উপর মামুন বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়।পরবর্তীতে সিফাতের কান্নার শব্দে চাচা হুমায়ুন সহ তার বাড়ীর আত্মীয়-স্বজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে দেখে মামুন মোবাইল ফোনে তার বাহিনীকে খবর দিলে তার ছোট ভাই সুমনের নেতৃত্বে ২ থেকে ৩ শত জনের দুষ্কৃতকারী লোকের বাহিনী নিয়ে এসে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর সহ ঘটনাস্থলে ৯/১০ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।গুরুতর আহতরা হলেন-ইব্রাহিম(৪৫),জামান(৭০),আমীন(৬০)ও মিহিনউল্লাহ(৪৫)এরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন,ছাত্রলীগ নেতা সিফাত,সোহাগ,ইমাম হাসান,রফিক, শিহাব,আবু তাহের ও হৃদয় এবং চাচা হুমায়ন নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।ঘটনায় গুরুতর আহত ইব্রাহিম আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আই সিইউতে ভর্তি রয়েছেন।বৈদ্যের-বাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কান্না কন্ঠে আরো বলেন-তাদের(সিফাতের)লোকদেরকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মামুনের লোকজন তাদেরকে গতিরোধ করে আটকে রাখে।এসময় মামুন বাহিনীর লোকজন হুমকি প্রদান করে বলে- কাউকে হাসপালে নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। মামুন বাহিনীর লোকজনের ভয়ে গাড়ীর চালক ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিদের রেখে পালিয়ে গেলে,পরবর্তীতে প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা পর এলাকার লোকজনের সহায়তায় গাড়ি পরিবর্তন করে এবং রাস্তা পরিবর্তন করে তাদেরকে নিয়ে মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়।আমি(সিফাত) জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে ঘটনা জানালে ঘটনাস্থলে সোনারগাঁ থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।সিফাত আরো বলেন-ইউপি সদস্য মামুনের ছোট ভাই সুমন একজন মাদকসেবী ও সন্ত্রাস।সুমন এলাকায় তার ভাইয়ের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে রমরমা মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে এবং মামুন তার বাহিনী দিয়ে অবৈধ জমি ব্যবসা সহ বিভিন্ন অবৈধ কাজে লিপ্ত রয়েছেন।মামুন এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন।বর্তমানে এলাকাবাসী মামুন বাহিনীর একক কর্তৃত্বের প্রভাবে মুখ খুলে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।সিফাতের চাচা হুমায়ুন বলেন-আমরা সকলেই শান্তি প্রিয় মানুষ।আমরা এলাকায় কখনোই অশান্তি চাইনা।আমরা সকলেই মিলেমিশে থাকতে চাই।তিনি আরো বলেন-আমরা এলাকাবাসী আমাদের স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যকে অবহিত করেছি।তারা আমাদের সুস্থ সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।ঘটনার ব্যাপারে ইউপি সদস্য মামুন বলেন-ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং সোনারগাঁ থানার পুলিশকে অভিহিত করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।তিনি আরো বলেন-ঘটনার ব্যাপারে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।আমি এলাকার প্রতিনিধি,তাই আমি এলাকার ঘটনায় আমার উপরস্থ প্রতিনিধিনিদের মাধ্যমে আইনগত সকল সহযোগিতা কামনা করছি।