মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টারঃ
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়ায় এবং পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকার ছাত্র সমাজ ও সকল জনগণ রাস্তায় নেমে আসে।পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দেয়ার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি)ক্যাম্পাস থেকে ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল বের করে।মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সালাম,রফিক,বরকত,জব্বারসহ আরো মায়ের বীর সন্তানেরা।আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি উপলক্ষে শম্ভূপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল কাদির জয় বলেন-অমর একুশের চেতনা এখন বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা অনুপ্রেরণার উৎস।তবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সঠিক চর্চা ও সংরক্ষণে আমাদের আরো বেশি পরিশ্রমী ও উদ্যমী হতে হবে।তথ্যপ্রযুক্তির আশীর্বাদে আমরা এখন একই বৈশ্বিক গ্রামের বাসিন্দা।তাই উন্নত বিশ্বের সঙ্গে অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে বিভিন্ন ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে।যা আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত।তিনি আরো বলেন-আমি বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন আমাদের নিজস্ব ভাষার উন্নয়ন ও সংরক্ষণের পাশাপাশি বহুভাষিক শিক্ষার মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।অমর একুশের চেতনাকে ধারণ করে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হউক।বৈষম্যহীন বর্ণিল পৃথিবী গড়ে উঠুক- শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।বাণীতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কাদির জয় বলেন-ভাষা আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাঙালী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়।বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করবো-স্মার্ট নাগরিক,সরকার,ইকোনমি জোন ও স্মার্ট সোসাইটি।তিনি আরও বলেন-আমাদের বাংলাদেশ সরকার ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে।আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি,আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের মতো উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সোনার বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো।