জিয়া চৌধুরী (খুলনা প্রতিনিধি)
খুলনার রাজপথ অচল করে দিয়েছে কোটা প্রথা বাতিলের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা খুলনার শিববাড়ী মোড়ে অবস্থান করে এবং খুব কম সময়ের মধ্যেই শিববাড়ী মোড় তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়। তারা ভুয়া, ভুয়া সহ নানা শ্লোগান দিতে থেকে, সকল ভয় ভীতি উপেক্ষা করে ও মৃত্যুকে জলাঞ্জলি দিয়ে, হাতে লাঠি, রড়, জি আই পাইব, প্লাকার্ড, পতাকা হাতে নিয়ে তাদের এই আন্দোলন করতে দেখা যায়।
এতে করে শিববাড়ী ও তার আশ পাশ এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। পথচারী সহ সাধারণ মানুষের মধ্য অতংক দেখা দেয়। খুলনার জোড়াগেট থেকে ডাকবাংলা মোড় পর্যন্ত ছিলো যানবাহন শুন্য।
খুলনার অন্যান্য সড়ক গুলোতে ও তেমন কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায় নি।
শহরের প্রায় প্রতিটি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে সাধারন পথচারিরা ভুগান্তির মধ্য পড়েন।
এই আন্দোলনের কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্য হতাশা দেখা দিয়েছে। তারা দোকানপাট খুলতে পারছে না। বেচাবিক্রি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
অভিভাবক, পথচারী, সাধারণ মানুষ ও উৎসুক জনতা বলছে দেশের যে অবস্থা তাতে প্রতিটি মানুষের খুবই কষ্ট হচ্ছে। হাতে গোনা কিছু মানুষ বাদে প্রায় সকল মানুষ আছে মাহা বিপদে। দিন দিন দ্রব্যমুল্যর যে পরিমান দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সাংসার চালিয়ে, ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা শেখানো যাচ্ছে না।
হাজারো কষ্ট উপেক্ষা করে যে সব ছেলে মেয়ে পড়া লেখা শিখেছে তাদের আবার কোটা প্রথার কারণে তেমন একটা চাকরি হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধা কোটা,পোষ্য কোটা, উপজাতি কোটা, নারী কোটা সহ রয়েছে হরেক রকম কোটা। সাধারন শিক্ষার্থীরা এই কোটার জালে আটকা পড়ে ছটপট করছে।
এই কোটা প্রথার কারণে সহজে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকরি হচ্ছে না। সে কারনে তাদের বেকার জীবন পার করতে হয়। এতে করে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা হতাশ ভোগেন। এই সকল হতাশা থেকে মুক্তির জন্য বাধ্য হয়ে তারা মৃত্যুর পড়োয়া না করে শিক্ষার্থীরা আজ রাজপথে নেমেছে। সরকারের উচিত সকল কোটা প্রথা বাতিল করে শুধু মাত্র মেধার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া । তাহলে সহজে গরীব পিতা মাতার মেধাবী শিক্ষার্থী সহ সকল মেধাবীরা চাকুরি পাবে এতে দেশ ও জাতীর উন্নতি হবে।