পঞ্চগড় প্রতিনিধি,
পঞ্চগড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, সরকার বদলের পরেও কি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে। এই জন্য কি আমরা আন্দোলন করেছিলাম। একটা কথা মনে রাখবেন এই পঞ্চগড়ের মানুষের পেশি রিক্সা চালকের পেশি। আমরা রাস্তায় নামলে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের মুলোৎপাটন করে ছাড়বো। পঞ্চগড় নিয়ে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে তাহলে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভূটান এই চারদেশের যে সীমান্ত, এই চার দেশের যে গলা, এই চার দেশের যে নিঃশ্বাস, এই চার দেশের যে হৃদপিন্ড সেই তেতুঁলিয়া, বাংলাবান্ধা আমরা চিরতরে বন্ধ করে দেবো। একটা জিনিস মনে রাখবেন সৃষ্টিকর্তা আমাদের একপাশ দিতে পারেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাদের গলা চেপে ধরার মত একটি জায়গা দিয়েছেন।
তিনি শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারী কলেজের বটতলা চত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের আয়োজনে গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ছাত্র নাগরিক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আপনাদের সন্তানদের শুধু ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ার বানানো বাদ দেন। এখন থেকে তাদের ভালো রাজনীতিবিদ বানান। কারণ সংসদে যে ভাগ্য নির্ধারণের জায়গা সেখানে রাজনীতিবিদরা ভাগ্য নির্ধারণ করেন। তাই দেশের ভাগ্য নির্ধারণে তাদেরকেও রাজনীতিতে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পঞ্চগড়ের মানুষ একটি কথাই মনে রাখবেন আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একটি কথাই বলতে চাই, আজকের পর থেকে কোন মানুষকে পোশাক দেখে বিচার করা যাবে না। আজকের পর থেকে কোন মানুষকে দাড়ি বা টুপি দেখে বিচার বা জাজ করা যাবে না। আজকের পর থেকে কোন মানুষকে তার দল দেখে জাজ না করে তার কাজ দেখে বিচার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পঞ্চগড় থেকে ঢাকার দুরত্ব সবচেয়ে বেশি দূরের। প্রায় ১৩ থেকে ১৪ ঘন্টা ধরে জার্নি করতে হয়। কিন্তু পঞ্চগড়ের এক মন্ত্রী বদলের পর থেকে এখানে রেলের বগির বদলে নসিমন দেয়া হয়েছে। আমরা আজকের পর থেকে হুশিঁয়ার করে দিতে চাই। আমরা আর বৈষম্যর শিকার হতে চাই না।
মতবিনিময় সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, রাকিব রানা মাসুদ, আবু সাইদ লিয়ন, মিশু আলী সুহাস, জহির রায়হান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, মোকাদ্দেসুর রহমান সান, খোরশেদ মাহমুদ, মখলেছার রহমান, হাবিবুর রহমান শাওন সহ জেলার ৫ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনতা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ ভবনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়কেরা।