বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
ফের উত্তপ্ত দক্ষিণ বাংলার জনপদ সাম্প্রতিক মাথাচাড়া দিয়েছে মাস্টার মাইন্ড রেন্ট কিলার বাহিনী একের পর এক খুন হচ্ছে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় খুলনা বিভাগের ঝিনাইদাহ জেলার সংসদীয়-৪ আসনের এমপি গত ২২ মে আনোয়ারুল আজিম আনারকে ব্যবসায়িক প্রলোভন দেখিয়ে ভারতের উত্তর কলকাতায় ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল এমপির ব্যবসায়ী পার্টনার আখতারুজ্জামান শাহীন।
বিনিময় কন্টাক্ট ছিলো ৫ কোটি টাকা। তবে অনার হত্যাকান্ডের পর থেমে নাই হত্যাযজ্ঞ তদ্রূপ ঘটনার পুনরাবৃতি।
গত সপ্তাহে ডুমুরিয়ার বার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবিকে দূর্বৃত্তদের গুলিতে জীবন দিতে হয়েছে। অপরদিকে গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টায় নগরীর পূর্ব বানিয়া খামার লোহার গেট এলাকায় খুন হয়েছে ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক আলামিন।
ঘটনার অন্তরালে রয়েছে এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসা আর এ ধরনের অন্ধকার জগতের ব্যবসা ও দলীয় কোন্দোলের কারণে
প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও ঘটছে হত্যাকাণ্ডের মতন জঘন্যতম ঘটনা। আর এ সকল ঘটনার অন্তরালে রয়েছে ক্লিন মিশনের একদল মাস্টার মাইন্ড কিলার খুনিরা । যারা ঘটনার নেপথ্যে থেকে অন্যতম হুতাদের সাথে সকল লোক চক্ষুর অন্তরালে কোটি কোটি টাকা কন্টাকের লালসায় টুকরো টুকরো করে হত্যা করছে প্রফেশনাল মনুষ্যত্বহীন কসাই রুপি কিলারদে বীভৎস মনুষ্যত্বকে অন্ধকার জগতে নিমজ্জিত রেখে । আবার কোথাও কাউকে হত্যা করছে বন্দুকের বুলেটের আঘাতে।
আবার কেউ খুন হচ্ছে অস্ত্রাঘাতে। তবে খুনের নেপথ্যে থেকে মদত দাতারা কোন কৌশলেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েও রক্ষা পাচ্ছে না প্রশাসনের নেটওয়ার্ক থেকে।
দেশের একদল চৌকস বুদ্ধিমত্তা প্রশাসন বাহিনীর দক্ষতার কাছে হার মানতে হচ্ছে তাদের। কোন না কোন পন্থায় আটক হচ্ছে অতঃপর খুনিদের আনা হচ্ছে আইনের আওতায়।
তবে দেশের গোয়েন্দা বিভাগে ডিবি পুলিশ র্যাব এর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে উদঘাটন হচ্ছে অজানা অনেক লোমহর্ষ তথ্য বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল।
প্রকাশ্যে আসছে খুনের কারণ হিসেবে দেশের উচ্চ পর্যায়ের মাদক কারবারি চোরাচালান, নারিকেলেঙ্কারি, ভূমি দখলসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের অংশীদারি ব্যবসার অর্থ বাটোয়ারা নিয়ে। আরএ সকল অবৈধ অন্ধকার জগতের ব্যবসার অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে বনিবনা না হওয়ার কারণে কাউকে না কাউকে খুন হতে হচ্ছে। আরএ সকল ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত থেকে ব্যবসা পরিচালনা কারিরা সমাজের নামিদামি মাস্টার প্লান্ট মাইন্ড এর ব্যক্তিগণ। আর এদের পরিচয় কেউ পার্লামেন্টের মন্ত্রী কেউ এমপি কেউ উপজেলা চেয়ারম্যান কেউ ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা।
আর ঠিক তদ্রূপ অর্থ লোভ নিষিদ্ধ ব্যবসা আর বেশ কিছু অন্ধকার জগতের অন্তরকোন্দলের কারনে দেশের টপ টু বটন নয়া মাফিয়া চক্রান্তের লালসার শিকার হয়ে জীবন দিতে হয়েছে দেশের অসংখ্য আনারের মত মানুষদের তবু থেমে নেই এদের দৌরাত্ব আর কোথাও না কোথাও প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে বীভৎস মর্মান্তিক অমানবিক খুনের ঘটনা ফলে অসহায় হচ্ছে অসংখ্য পরিবার। তবে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি ও কঠোর তৎপরতায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে কিলার বাহিনীর মাস্টারমাইন্ড মদদাতাদের।
তার মধ্য প্রশাসনের প্রধান টার্গেট হিসেবে ডুমুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যের আজগার বিশ্বাস তারা কে আটকের গুঞ্জন শহর জুড়ে টক অফ দা খুলনা। তবে এলাকা ও প্রশাসন সূত্র থেকে তথ্য পাওয়া যায় ডুমুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে পূর্বের থেকেই আজগার বিশ্বাস তার সাথে চেয়ারম্যানের মতবিরোধের কারণে সন্দেহের তীর আজগার বিশ্ব তারার দিকে সেই হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে যে হত্যার অন্যতম সাকসেস মাস্টার মাইন্ড ও খুলনার অন্যতম প্রভাবশালী বিশ্বাস প্রপার্টিজ ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আজগর বিশ্বাস তারাকে নগরের রায়ের মহল মোস্তফার মোড় এলাকার বিশ্বাস প্রোপার্টিজের কার্যালয় থেকে তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়। এবং একই সাথে কার্যালয়ের প্রতিটি কক্ষে প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত তল্লাশি চালিয়ে তারাবিশ্বাসের মালিকানাধীন বিশ্বাস প্রপার্টিজের কার্যালয় থেকে একটি শর্টগান একটি খেলনা পিস্তল একটি রিভলভার সদৃশ লাইটার ৫৭ রাউন্ড ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা জব্দ করা হয়। পরে আজগার বিশ্বাস তারা কে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধির জন্য তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। অপরদিকে আলামিন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে তিন কিশোর গ্যাং এর সদস্য আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
তবে নিহতের পরিবারের আক্ষেপ আটকৃতদের কাছে সঠিকভাবে রিমান্ডের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকারীর মূলত তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।
এদিকে এলাকাবাসী ও খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সূত্রে জানা গেছে বিগত দিন ধরে এলাকার দাদো মিজানের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছিল তারিখের ধরে বেশ কিছুদিন আগে দাদু মিজান কে লক্ষ্য করে আলামিন গুলি ছুললে ও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে এসে যাত্রায় দাদো মিজান বেচে যায়। আর তখন থেকেই মিজান আল আমিনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। তার যে ধরে গত ৮ জুলাই রাত্র ৯ টায় নগরের ২৭ নং ওয়ার্ড পূর্ব বানিয়া খামার লোহার গেট এলাকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে।