মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
প্রাচ্যের ড্যান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জে নিটিং কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা করছেন শ্রমিকরা।বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকাল প্রায় ৮টা হতে এই কর্মবিরতি শুরু হয়।ফতুল্লার বিসিক শিল্প নগরীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত প্রায় ৪ শতাধিক নিটিং ও কলার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রেখে এই কর্মবিরতি পালন করছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক এবং প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীরা।সরেজমিনে গিয়ে ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় ঘুরে দেখা যায়-নিটিং কারখানাগুলো উৎপাদন বন্ধ রেখে বেকার সময় পার করছেন শ্রমিক ও কর্মচারীরা।বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম সারোয়ার জানান-ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে আমদানি নির্ভর শ্রমিকদের মজুরি,পরিবহন খরচ,কাঁচামালের দাম,ফ্লোর ভাড়া,নিটিং মেশিনের এক্সেসরিজের মূল্য সহ দফায় দফায় বিদ্যুতের বিল বাড়ানো হয়েছে।এতে কারখানা চালিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে,পাশাপাশি থান কাপড় উৎপাদন খরচ অনুযায়ী গার্মেন্টস কারখানার মালিকেরা ন্যায্য পাওনা দিচ্ছেন না।তাদের অবহেলা ও অসহযোগিতার কারণে নিটিং শিল্প অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে সারা দেশে প্রায় ৩০/৩৫ শতাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।সূত্রে জানা যায়ঃআড়াই হাজার নিটিং কারখানায় প্রায় আড়াই লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মচারী ও মালিকরা মানবেতর ও অসহায় জীবনযাপন করছেন,কোন উপায়ান্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।তিনি আরো বলেন-আমরা কর্মবিরতি পালন করতে চাইনি।আমরা গার্মেন্টস মালিকদের সহযোগিতা না পেয়ে সব কারখানার মালিকদের দাবির কারণে বাধ্য হয়েছি এই কর্মসূচি দিতে।আমরা বিকেএমইএর সভাপতি এমপি একেএম সেলিম ওসমান,নির্বাহী সভাপতি মোঃ হাতেম এবং নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।তারা মন থেকে সুদৃষ্টি দিলে আমাদের সমস্যা সমাধান হবে।এর পূর্বে গত ১৩ই জুলাই ফতুল্লায় বিসিক শিল্পনগরীতে বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরী সভায় সকল কারখানা মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে এই কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন সভাপতি সেলিম সারোয়ার।