বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
এলোমেলো অগোছালো মেঘের হঠাৎ বৃষ্টিতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
খুলনা জেলার আশপাশ এলাকার কৃষকরা বলেছে ভাদ্র মাসের শুরু থেকে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি থাকলেও তা আমন ধান চাষীদের প্রয়োজনের তুলনায় ছিল অপ্রতুল।
এবছর আমন ধানের মৌসুম শুরু থেকেই কৃষকদের লক্ষ্যমাত্রা ভেদ করে
সুবাতাসের আভাস দিচ্ছে আমন ধানের সবুজ চাদরের আভায়।
তবুও জেনো সামান্য বৃষ্টির পানির অভাবে খুলনার স্থানীয় কৃষকরা ছিল চাতক পাখির ন্যায় অপেক্ষমাণ।
আজকের অগোছালো এলোমেলো মেঘের হঠাৎ বৃষ্টিতে পূরণ হলো কৃষকদের সেই চাহিদা।
সবকিছু মিলিয়ে এবার যেন আমন ধানের উজ্জল সম্ভাবনায় বিগত বেশ কিছু বছরের লোকসান পুষিয়ে দেওয়ার আভাস দিচ্ছে আমাদের।
তাই কাক ডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে যাওয়া অবধি আমন ধানের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি আমরা। এতে আমাদের মাঝে যেন আনন্দের এক উধ্বেলতা বইছে।
মাঠে খাওয়া মাঠে নাওয়া মাঠেই বিশ্রাম।
এসব কথা মনের প্রশান্তির সাথে জানালেন খুলনা দীঘলিয়া এলাকার কৃষক আমির হামজা।
তিনি আরো জানিয়েছেন আমরা সকল কৃষকরা চলমান মৌসুম জুড়ে আমন ধান রোপনের ক্ষেত্রে পরিশ্রমতো করেছি পাশাপাশি স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা আমাদের পাশে থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। কারণ বিগত বছর গুলিতে যে সকল পতীত জমি গুলোতে আমরা ধান আবাদ করতে সাহস পাইনি সে সকল জমিতে আমন ধান আবাদ করার জন্য সুপরামর্শ দিয়ে তানারা আমাদের পাশে রয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় কৃষি অধিদপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে ধান গাছের গোজ ও চেহারা দেখে।
তাছাড়া ধারণা মতে বলা যেতে পারে যদি আবহাওয়ার বিরুপ ক্ষিপ্ত কোন প্রভাব ধেয়ে না আসে সেক্ষেত্রে কৃষকরা অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর দুই থেকে তিন গুণ বেশি ধান মাঠ থেকে ঘরে নিতে পারবে।
তবে এক্ষেত্রে কৃষকরা যদি ধানের সঠিক মূল্য পায় তাহলে কৃষকদের বিগত দিনের যত ঋণ দিনা পাওনা আছে সবকিছু মিটিয়ে ও উদ্বৃত্ত অর্থ সঞ্চিত থাকবে।
তবে কৃষকদের সকল ক্লান্তির প্রশান্তির প্রতিফলনও মুখে উজ্জ্বল হাসি অফুরন্ত থাকবে তখনই যদি সরকারের ধান ক্রয় কমিটি কৃষকদের সঠিক মূল্য দিয়ে ধান ক্রয় করে।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন দেশের অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করতে গেলে কৃষকদের আমন ধান রোপণের মাধ্যমে দেশের সরকারের একটি বিশাল অর্থনৈতিক অবকাঠামো চাঙ্গা করে তুলতে আমন ধান একটি বৈপ্লবীক সম্ভাবনার দারুন মোচন করে।
এতে কৃষকদের যেমন দারিদ্রতা বিমোচন হয় তেমন সরকারের অর্থনৈতিক অবকাঠামো ও মজবুত হয়।