জিয়া চৌধুরী (খুলনা প্রতিনিধি)
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সরকার সকল সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের পদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। যার কারণে খুলনা সহ দৌলতপুরের ১,৩,৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরা তাদের প্রশাসনিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন এবং ওয়ার্ড অফিস গুলো কাউন্সিল শন্য হয়ে যায়। এর ফলে নানা বিড়াম্বনায় পড়তে হচ্ছে সেবা গ্রহিতাদের। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে অদ্যাবধি কোন সেবা গ্রহিতা ওয়ার্ড অফিস থেকে তেমন কোন নাগরিক সেবা পাননি। বিশেষ করে নাগরিক সনদ,জন্ম নিবন্ধন সনদ,ওয়ারেশকায়েম সনদ, মৃত্যু সনদ, প্রয়োজনীয় প্রত্যয়ন পত্র সহ কোন সেবাই পাচ্ছে না সেবা গ্রহিতারা। এর কারণে ওয়ার্ড অফিস গুলোতে অফিসিয়াস কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে। শুধু মাত্র ওয়ার্ড কাউন্সিলর সচিব সহ ওয়ার্ড অফিসের কর্মচারীরা অফিসে এসে অলস সময় পার করছেন। সেবা না পেয়ে সেবা গ্রহিতারা ফিরে যাচ্ছেন শুন্য হাতে, এর ফলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস গুলোতে জনশন্য অবস্থা দেখা দিয়েছ। ওয়ার্ড অফিস গুলোতে কাউন্সিল না থাকলে ও নিয়মিত পয়োনিষ্কাশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিষ্কার ও স্বচল রাখা, ওয়ার্ড পরিষ্কার পরিছন্ন, সড়কের বাতী মেরামত, মশা নিধনের জন্য ঔষধ ছিটানো সহ অন্যান্য কিছু কার্যক্রম চালু রয়েছে বলে জানা যায়।
কেসিসির ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে জন্ম নিবন্ধন করতে আসা আম্বিয়া বেগম জানান আমার বাচ্চার জন্য জন্ম নিবন্ধন করতে এসেছিলাম কিন্তু জন্ম নিবন্ধন করতে পারলাম না। ওয়ার্ড অফিসে কাউন্সিল নাই। বর্তমান সরকার সকল কাউন্সিলদের পদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে। আমরা চরম ভোগান্তিতে পরেছি। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিল শাহিদা বেগম বলেন, প্রতিদিন এলাকাবাসী নানা প্রয়োজনে বাসায় ভিড় করে, কারো প্রত্যয়ন পত্র দরকার, কারো আবার জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিক সনদ দরকার, কিন্তু এগুলো দেওয়ার ক্ষমতা এখন আর আমার নাই বলে বুঝি পাঠিয়ে দিচ্ছি। ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের ওয়ার্ড সচিব মোঃ মিরাজুল ইসলাম মিরাজ বলেন অফিসিয়াল কার্যক্রম বাদে আমাদের অন্যান্য সকল নাগরিক সেবা চালু আছে বিশেষ করে ড্রেন পরিষ্কার পরিছন্ন করা, মশা নিধনের জন্য ঔষধ স্প্রে করা, ওয়ার্ড পরিষ্কার রাখা, সড়ক বাতি মেরামত ও স্বচল রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন কেসিসির নগর ভবন থেকে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মাদ মাসুদ করিম কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে অফিসের সকল কার্যক্রম তিনি দেখভাল করবেন।কেসিসির ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের ওয়ার্ড সচিব জুলফিকার বলেন কাউন্সিল না থাকায় মানুষ সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছে। আমারা কোন জন্ম নিবন্ধন,নাগরিক সনদ,উত্তরাধিকার সনদ,প্রয়োজনীয় প্রত্যয়ন পত্র কোন কিছুই দিতে পারছি না যার কারনে অনেক চাকুরী প্রত্যাশী ছেলে মেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে। ইতিমধ্য কেসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের স্থলে সেবা দিতে ৩১ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আশাকরছি আগামি কয়েক দিনের মধ্যে কাউন্সিল অফিস থেকে সেবা গ্রহিতারা সকল সেবা পাবে।