মোঃ আতিকুর রহমান আজাদ কালকিনি(মাদারীপুর) প্রতিনিধিঃ
মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মাদারীপুরের ডাসারে রবি মাঝি(৬৫) নামে এক সংখ্যালগু পরিবারের উপরে হালমা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে সংখ্যালগু পরিবারকে উদ্ধার করে ডাসার থানা পুলিশ।
এদিকে এঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ওই সংখ্যালগু পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন।
আজ(১৬ মার্চ)রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার
অপরদিকে ওই সংখ্যালগু পরিবারটি হামলার শিকার হয়েও আ’লীগ নেতা সহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তবে এর সঠিক বিচারের দাবি করেছেন সাধারণ জনগণ ও সচেতন মহল।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের সনমন্দি গ্রামের রবি মাঝি স্থানীয় বাজারে ইকবাল খানের দোকানে কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে প্রথমে সনমন্দি বাজারে বসে বালিগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ রাসেল হাওলাদারের নেতৃত্বে ওবায়দুল হাওলাদার, লাভলু হাওলাদার,সবুজ হাওলাদার মিলে ওই সংখ্যালগু রবি মাঝির উপর হামলা চালায়। পরে জীবন বাচাতে ইকবালের দোকানে আশ্রয় নিলে পুনরায় ওই আ’লীগ নেতা রাসেল হাওলাদার শতাধীক লোকজন নিয়ে দোকানেও হামলা চালায়। এতে আহত হন রবি মাঝি ও তার স্ত্রী শিলা মাঝি।
পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি ৯৯৯ এ পোন দিলে ডাসার থানার পুলিশ ঘটনা স্থানে গিয়ে সংখ্যালগু রবি মাঝিকে উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগী রবি মাঝি ও তার স্ত্রী শিলা মাঝি বলেন, রাসেল আ’লীগের সভাপতি ও মেম্বার। ওর কারণে আমরা সব সময় আতঙ্কে বসবাস
করি। আমার বসতঘরের পিছনের জায়গা দিয়ে রাস্তা তৈরিতে নিষেধ করি বিদায় আমাদের উপর মিথ্যা একটি অপবাদ দিয়ে মারধর করে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান খান বলেন, আমি মিমাংসা করে দেয়ার কথা বলেছি, তারা আর আমার কাছে আসেনি।
ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ এহতেশামুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনা স্থানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মিমাংসা করে দেয়ার কথা বলেছেন।