বিপ্লব সাহা খুলনা ব্যুরো :
অবশেষে ১০ শর্ত আরোপের মধ্য দিয়ে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় রোডমার্চ সমাবেশের অনুমতি দিলো খুলনা সিটি কর্পোরেশন কেসিসির স্টেট অফিসার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন ২৪ সেপ্টেম্বর রোববার রাত দশটায়।
তাছাড়া গণমাধ্যমকে এ সময় আরো জানান বিএনপির এই রোড মার্চ সমাবেশের ব্যাপারে
দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের হাই কমান্ডের নীতি নির্ধারক নেতাদের সিদ্ধান্তে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে ১৬০ কিলোমিটার রোড মার্চ আগামী মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দিলে খুলনা বিভাগের সকল সকল জেলার নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠকের মাধ্যমে রোড ম্যাপ এর ছক পাকাপক্ত করে ফেলেছে।
এ সময় মিডিয়া সেল আরো জানিয়েছেন দলের পূর্ব ঘোষিত রোডমার্চ টি ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে মাগুরা যশোর নওয়াপাড়া ফুলতলার ১৬০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে খুলনার জিয়া হল চত্বরে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সমাবেশে বিভাগের পাঁচ লাখ মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা করছে দলটি।
ইতোমধ্য রোডমার্চকে ঘিরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে প্রস্তুতি সভা পোস্টার সাটানো ও প্রচার পত্র বিতরণের কাজ চলছে।
তাছাড়া নগরীর বিশেষ বিশেষ পয়েন্টে তোরণ তৈরি করেছে।
পাশাপাশি খুলনা জেলা সহ বিভাগের আরো নয়টি জেলা জুড়ে বিভিন্ন ফেস্টুন ব্যানারে আলোকিত করে জোর গতিতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মী থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বদানকারী নেতারা।
তবে শত হলেও নিয়মের ১০ আইনের শর্তের গণ্ডির মধ্য থেকে তাদের এই সমাবেশ পালন করতে হবে।
কেসিসির দেওয়া শর্তগুলোর মধ্য উল্লেখ রয়েছে –
১. রাস্তা চত্বর ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই কেএমপির অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। কে এমপি অনুমতি প্রদান না করলে কেসিসির এই অনুমতি বাতিল বলে গণ্য হবে।
২. অনুমোদিত রাস্তা ও রাস্তার মাঝে অবস্থিত ডিভাইডার বা বিউটিফিকেশন কোনরূপ বিনষ্ট খোরাখুরি করা যাবে না। এজাতীয় কোন রূপ ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৩. জন উপদ্রব সৃষ্টি এবং জনসাধারণসহ যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এমন কোন কর্মকান্ড করা যাবে না।
৪.অনুমোদিত স্থানে আইন বিরোধী অশালীন ও অশোভন কোন কর্মকান্ড করা যাবে না।
৫. সকলকে বাধ্যতামূলকভাবে মাক্স পড়তে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৬. বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে হবে। কোন অবস্থাতেই জনসমাগমের কারণে সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি যাতে উপেক্ষিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে ।
৭. নিজ উদ্যোগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কার্য থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯. অনুমতি প্রাপ্ত স্থানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
১০. অনুমোদিত স্থানের সরকার কর্পোরেশন বা জনস্বার্থের প্রয়োজনে প্রদত্ত অনুমতি বাতিলের ক্ষমতা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে। এতে কোন ওজর আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।