ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচার খুনি হাসিনা সরকারের পতনের পর কোটচাঁদপুর উপজেলার সবগুলো (৫টি) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানেরা লাপাত্তা হয়েছেন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশী সাধারণ জনগণ। কার্যালয় ছাড়ার এক মাসের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের অনেকেই এখনো কার্যালয়ে ফেরেননি।
সেবা প্রত্যাশীরা চেয়ারম্যানের কক্ষ তালাবন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। প্রয়োজনীয় কাজের জন্য পরিষদে আসা জনসাধারণ পড়েছেন বিপাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার (১০ই সেপ্টেম্বর ) বেলা ১১:৩০টায় উপজেলার বলুহর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায় চেয়ারম্যানের কক্ষ তালাবদ্ধ। কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর একই চিত্র চোখে পড়ে। তবে কিছু ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তারা উপস্থিত থাকলেও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের জন্য ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে সেবা প্রার্থীদের। তবে কিছু কিছু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থেকে জনসাধারণকে সেবা দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে জন্ম-নিবন্ধন, নাগরিক সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স করতে আসা বেশ কয়েকজন জানায় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন তবুও চেয়ারম্যান এর দেখা নেই।
এসময় স্থানীয় জনসাধারণ অভিযোগ করে বলেন, গত (৫ আগস্ট) সোমবার ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসক খুনি হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লোকজন প্রতিদিন এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে অপেক্ষা করেও সেবা পাচ্ছেন না।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের এর সাথে মুঠোফোনে কথা হয় এই প্রতিবেদককে তারা জানান, চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সেবা প্রার্থীদের পুরোপুরি সেবা দিবেন তারা।
কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো জনগণ যদি ইউনিয়ন পরিষদের প্রকৃত সেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হন তাহলে এই বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।