মো: আবু তালহা হাটহাজারী উপজেলা প্রতিনিধি
আজ সোমবার দুপুর ৩:৩০ এ ষোলশহরে ‘বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ’ এ অংশগ্রহণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা ২:৩০ এর শাটলে উঠেন। এমতাবস্থায় চবির ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ট্রেনে চাবি নিয়ে নেন এবং খান তালাত মাহমুদ রাফি নামক একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে দীর্ঘ ৩০ মিনিটের মতো তর্কাতর্কি করার পর তাকে জোর করে টেনে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাফি কোটা বিরোধী আন্দোলনে একজন অগ্রগামী ব্যাক্তি। কোটা ব্যবহার করে তিনি নাট্যকলা বিভাগে ভর্তি হলেও ন্যায্যতার আন্দোলনে ছিলেন অগ্রগামী। প্রক্টর অফিসে রাফি সম্পর্কে বেশ কিছু অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা প্রক্টর ড. অহিদুল ইসলাম এর নিকট ৩টি দাবি জানান।১, কোটা বিরোধী হওয়ায় তার কোটা বাতিল করার মাধ্যমে তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হোক,ছাত্রত্ব বাতিল হলে সে ক্যাম্পাসে থাকতে পারবে না, রাজাকার রাজাকার স্লোগান দেওয়ায় তাকে রাজাকারের শাস্তি দেওয়া হোক। এছাড়াও তার ড্রপ টেস্ট করানোর দাবিও করেন তারা।
এসময় একদল শিক্ষার্থী স্লোগান দিতে দিতে শহিদ মিনারে আসলে ছাত্রলীগের ১০-১২ জন কর্মী লাঠি, ডাল নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এসময় ৬-৭ জন আহত হয়, তন্মধ্যে দুই তিন জনের অবস্থা আশংকাজনক।
ছাত্রলীগের আক্রমণে দমে যায় নি মেয়ে শিক্ষার্থীরা। প্রথমে পিছিয়ে গিয়ে একসাথে ছাত্রলীগের ধাওয়া প্রতিহত করেন এবং তারা বাধা অতিক্রম করে পৌছে যান প্রক্টর অফিসে।
এসময় তারা রাফিকে বে আইনি ভাবে শাটল থেকে তুলে আনা ও রাস্তায় তাদের উপর হামলা হওয়ার ব্যাপারে সুষ্ঠু বিচার দাবি করলেও প্রক্টর থেকে সরাসরি কোন উত্তর দেওয়া হয় নি।