বিপ্লব সাহা,খুলনা ব্যুরো :
খুলনায় পবিত্র ঈদ উল আযহার পশু জবাইকৃত উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য অপসারণ এবং জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে জোর তাগিদে কাজ করছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ৪ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী। এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক কোরবানি ঈদের আগের দিন সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পশু কোরবানির উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য অপসারণ এর ব্যাপারে জোর তাগিদ দিয়ে বলেছিলেন যত দ্রুত সম্ভব হয় কোরবানীকৃত উচ্ছিষ্ট বর্জ্য সম্প্রসারণের ব্যবস্থা নিতে নিজেদের উদ্যোগের একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তবে বর্জ্য অপসারণ ও নগর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের ক্ষেত্রে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রায় চার হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী ও বর্জ্য অপসারণের জন্য ছোট কাভার্ড ভ্যান সহ বেশ কিছু ট্রাক ও ডাম্পিং গাড়ি নিয়োজিত রাখা হয়েছে। এবং জবাইকৃত উচ্ছিষ্ট বর্জ্যগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে যত্রতত্র না ফেলার জন্য নগর ভবনের পক্ষ থেকে নগরীর প্রায় সকল এলাকাতেই প্লাস্টিকের বস্তা ও ব্লিচিং পাউডার প্রদান করা হয়েছে । তাছাড়া ঈদের দিন সকাল থেকেই প্রতিকূল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নগর ভবনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিয়োজিত থেকে সকল কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যাতে করে ঈদের দিন রাত্র দশটা নাগাদ সকল বর্জ্য অপসারণ করে শহরকে দূষণমুক্ত করতে পারে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খুলনা নগর ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্তাগণ।
পাশাপাশি নগর ভবনের বিশিষ্টকর্তারা আরো বলেছেন সকাল থেকেই বৃষ্টি হওয়ার কারণে জবাইকৃত পশুর রক্তধুয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা হয়েছে।
এদিকে বিভাগের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলেছে যথাসময়ে পশু জবাইকৃত উচ্ছিষ্ট বর্জ্য অপসরণ করে নগরীকে জীবানু মুক্ত করা একান্ত বাঞ্ছনীয়।কারণ দেশজুড়ে বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি একেবারেই ভালো না। দেশের হাসপাতাল গুলিতে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী মারা গেছে। অতএব জবাইকৃত বর্জ্য রক্ত নারী ভুড়ি যথাসম্ভব দ্রুত অপ্রসারণ করে জীবাণুমুক্ত করাটাকে তারা প্রাধান্য দিচ্ছে।