নাজমুল হাসান সবুজ খুলনা
শনিবার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় মহানগর বিএনপির জরুরী সভায় বক্তারা আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ আর নাৎসীরা কখনোই রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসন হতে পারে না। মুসলিনী আবার ফিরে আসেনি ইতালীতে, হিটলার আবার পূনর্বাসিত হয়নি জামার্নীতে। সুতরাং কোনোভাবেই মাফিয়া-নাৎসী-ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন বাংলাদেশে হবে না।
খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সারা দেশে প্রায় দুই হাজার লোকের জীবন কেড়ে নিয়েছে পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। সেই আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো প্রশাসনে রয়েছে। যারা হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছেন, তারাই ক্ষমতায় রয়ে গেছে। তাই ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের সরকারের বিভিন্ন পদ থেকে অপসারণে অন্তর্বরতী সরকারের কাছে দাবি জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, স. ম আ রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, শেখ সাদি, কে এম হুমায়ূন কবির (ভিপি হুমায়ূন), শেখ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, অ্যাড. চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, একরামুল কবীর মিল্টন মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব রকিবুল ইসলাম মতিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি, আহবায়ক, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য সচিববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে নগরীর অসমাপ্ত ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া আসন্ন দুর্গোৎসবে নগরীর সকল মন্দির পাহারায় বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে পৃথক পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের নেতৃত্বে পুজা মনিটরিং সেল গঠন করা হয়।
সভা থেকে সুসংগঠিত খুলনা মহানগর বিএনপির মধ্যে যাতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা প্রবেশ না করতে পারে সে লক্ষ্যে সকলকে সর্তক থাকার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ফ্যাসিস্টদের সাথে সখ্যতা গড়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযুক্ত’র বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।