রাসেল কবির// গ্রাম বাংলায় নবান্ন উৎসব হারিয়ে গেলও। কৃষকেরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এমন দৃশ্য দেখা গেছে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানা ৬ নং বিদ্যানন্দনপুর মডেল ইউনিয়নের পশ্চিম রতনপুর গ্রামের। কৃষকেরা ধান কেটে বাড়ির আঙিনায় তুলছে। দুপুরের খাবার মাঠে বসেই খেয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় আলমগীর মাতবরের সাথে তিনি বলেন কৃষক পাওয়া যায় না ধান কাটতে। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ধান কাটবে মজুরি ৮ শত টাকা দিতে হবে সকালে রাস্তা দুপুরে ভাত।ধানক্ষেত মালিক আফজাল করিম তিনি বলেন ধান কাটতে লোক পাওয়া যায়নি অনেকেই মাঠে কাজ করতে চায় না। এই ধান ফসল আগামীতে চাষ করা সম্ভব না। যে পরিমাণ মাঠে ব্যয় করতে হয় এতে লোককান গুনতে হয়। মাঠে অনেকেই ধান চাষ করলেও সবাই লোসকান দিবে। ধানের মধ্যে ইরি, বি-আর ২১, বি- ২২, বি- আর ২৮, মোটা ধান, কালোজিরা সহ বিভিন্ন প্রজাতি ধানে বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের মাথায় হাত। লতা ইউনিয়নের চরসোনাপুর গ্রামে আনোয়ার রাড়ি জানায়। কৃষক না পেয়ে একা ধান কেটে বাড়িতে আনতে হয়েছে। আসলী সন্তোষপুর গ্রামের চাষী হেমায়েত উদ্দিন বলে বর্তমানে কৃষক পাওয়া যায় না। সাতক্ষীরা জেলার লোকজন আমাদের এলাকায় আছে তাদের মাধ্যমে ধান কেটে বাড়ি আনতে পারলে কিছুটা সাশ্রয় হয় আমাদের। একসময় মাঠে বাসেই কৃষকেরা খাবার খেয়ে নিতো। মাঠে বসে কৃষক খেতে চায় না বাসায় এসে খেতে চায়।

