স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া
বগুড়ার শেরপুরে ঘুষ দাবি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের অভিযোগে অভিযুক্ত শেরপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলমকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, এসআই জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করার প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে ২০ এপ্রিল তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অভিযোগে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১২ মে পারিবারিক কলহের জেরে আঁখি খাতুন নামের এক নারী আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পরে দুপক্ষের মধ্যে আপোষ- মীমাংসা হয়। যেখানে থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যস্থতা ছিল। তিনি একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ‘পরবর্তীতে কারেকশন’ করার আশ্বাস দেন।
তবে দীর্ঘ ১০ মাস পর, ২০২৫ সালের ১৩ এপ্রিল আঁখির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করেই একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে মোবারক হোসেনসহ মোট ৫ জনকে আসামি করা হয়। আসামি মোবারক হোসেন অভিযোগ করেন, এসআই জাহাঙ্গীর আলম তাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় হয়রানিমূলক ভাবে মামলা দিয়ে তাদের ফাঁসানো হয়। এ সংক্রান্ত একটি ২৫ মিনিটের অডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।
মোবারক হোসেন আরো জানান, ১৭ এপ্রিল থানায় গেলে এসআই তাকে জানিয়ে দেন, তিনি মামলার আসামি। একই সঙ্গে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। পরে ২০ হাজার টাকা নিয়ে দুটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৮ এপ্রিল শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
এই বিষয়টি সম্পর্কে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) সজীব শাহরীন জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। এসআই জাহাঙ্গীর আলমকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। অভিযোগ যাচাই- বাছাই করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।