মো: আবু তালহা হাটহাজারী উপজেলা প্রতিনিধি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য জেরে ১৪ই এপ্রিল রবিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাত ১১:০০ টার দিকে জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করার জন্য উপস্থিত হোন।
রবিবারে সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস ভাইভা তে মুক্তিযোদ্ধার নাতি আর রাজাকারের নাতি ইস্যু নিয়ে আলোচনায় আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য।
এসময় সারাদেশের শিক্ষার্থীরা ক্ষেপে উঠে এবং তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাত ১১ টার দিকে জিরো পয়েন্টে একত্রিত হয়।
‘আমি কে তুমি কে, রাজাকার রাজাকার’ বলে স্লোগান দিতে থাকে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
এসময় মিছিল করতে করতে শহিদ মিনারের দিকে যাত্রা শুরু করেন তারা। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর দ্বিমূখী হামলা করেন চবি ছাত্রলীগ। এসময় ছাত্রলীগের এক নেতৃত্বস্থানীয় ব্যাক্তি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাজি ফুটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী বলেন,‘ আমার বন্ধু আসবে বলে আমি মিছিল থেকে একটু বিচ্ছিন্ন হয়ে শহিদ মিনার থেকে জিরো পয়েন্টের দিকে আসি। এমতাবস্থায় আমি বাজি ফুটার আওয়াজ শুনতে পাই, আমি প্রথমে ভেবেছিলাম আন্দোলনকে তীব্র করতে বাজি ফুটানো হয়েছে। একটু পরে লক্ষ্য করে দেখি অনেক শিক্ষার্থীরা দৌড়ে বিভিন্ন দিকে চলে যাচ্ছে। বিষয়টা পরে বুঝলাম যে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করেছে।’
আক্রমণের কারণ সম্পর্কে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানা যায়, তারা বলেন, ‘চবির ক্যাম্পাসে রাজাকার বলতে কেউ নেই, তারা কেনো রাজাকার রাজাকার স্লোগান দিবে, এটা মোটেই কাম্য নয়।’
ছাত্রলীগের আক্রমণকে সহজভাবে নিচ্ছেন না আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রলীগের আক্রমণ নিয়ে অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন,‘ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দল ত্যাগ করে আন্দোলনে আসতেছে, এদিকে চবির ছাত্রলীগ উক্ত আন্দোলনে হামলা ও বাধা দিচ্ছে, এটা দুঃখজনক।’
যেখানে যত প্রকার বাধা বিপত্তি আসুক না কেনো, তারা তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।