ঢাকাSaturday , 11 November 2023
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপন

  • চা বাগানের জায়গা সাবলিজ, চা চাষের পরিবর্তে হচ্ছে মাছ ও সবজি চাষ

    দেশ চ্যানেল
    November 11, 2023 8:16 am
    Link Copied!

    সাব্বির আকাশঃ হবিগঞ্জ

    জেলাপ্রতিনিধিঃহবিগঞ্জেরমাধবপুর উপজেলায় ৯৫৫ একরের বিশাল বৈকন্ঠপুর চা বাগান। এই চা বাগানের জন্য জমি লিজ নিয়ে বেআইনি ভাবে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে গড়ে তোলা হয়েছে মৎস্য প্রকল্প এবং কৃষি প্রকল্প আর এর নামে পাবলিকের কাছে ইজারা দিয়ে আয় করছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ফলে বাগানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভূমি চা চাষের পরিবর্তে মাছ ও সবজি চাষ হচ্ছে।

    উল্লেখ্য যে নতুন এবং পুরাতন, দুই ধরনের চা বাগান রয়েছে সরকারের। ১৯৫০ সালের আগের চা বাগান গুলোকে পুরাতন এবং ১৯৫০ সালের পরের চা বাগান গুলোকে নতুন চা বাগান হিসেবে ধরা হয়। পাহাড়ি জমি, কৃষি ও অকৃষি জমি, টিলা, খাস জমি এবং চা চাষ করা যাবে- এমন জায়গাকে চা বাগানের জমি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশের বেশির ভাগ চা বাগান ১৯৫০ সালের আগের জমিদারি, রায়তি ও প্রজা সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। সেই হিসাবে ১৯১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বৈকন্ঠপুর চা বাগান পুরাতন বাগান হিসাবে স্বীকৃত। বাগানটির ইজারা গ্রহীতা কোম্পানী বাংলাদেশ প্লান্টেশন লি:,ব্যবস্থাপনায় রয়েছে আমানত শাহ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ফার্ম টু ফার্ম ম্যানেজমেন্ট লিঃ, মেয়াদ শেষ হবে ১৪-০২-২০৪০সালে। বতর্মানে বাগানে ৪০০ জন শ্রমিক কাজ করছে।

    সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, পুরাতন চা বাগানের জমি যিনি ইজারা নেবেন, তাকে ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে সরকারকে বাৎসরিক একর প্রতি (এক একরে তিন বিঘা) ৩০০ টাকা মূল্য পরিশোধ করতে হবে এবং কোন ভাবেই শ্রেনী পরির্তন করা ও সাবলিজ/ দেয়া যাবে না। তবে কোন কিছু করতে হলে অবশ্যই সরকারে পূর্ব অনুমতি নিতে হবে।কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই বাগানের ভিতরে বিশাল বিশাল ৪-৫টি পুকুর খনন করে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীর কাছে একর প্রতি ৩০০০/-করে বাৎসরিক লিজ দিয়েছে।এভাবে শত শত একর সমতল,টিলা ভুমি স্থানীয় লোকদের বাৎসরিক ৩০০০/-টাকা করে সাবলিজ দিচ্ছে। সাবলিজ কৃত লোকরা এক্সেভেটার দিয়া পাহাড়ী টিলা কেটে সমতল করে কৃষি চাষের উপযোগী করে তারা সীম,আলো,শশা,মোলা,বেগুন,টমেটো সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছে।

    সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। আনিছ নামে এক কর্মচারী সাথে দেখা হয় তিনি প্রথমেই বাগানের মালিকের আত্মীয় বলে কথা শুরু করেন তিনি বলেন এই এলাকার শরীফ ভাই বাগান কর্তৃপক্ষ থেকে সব পরিত্যাক্ত জায়গা ও পুকুর সহ একর প্রতি(বাৎসরিক) ৩০০০ টাকা করে লিজ নিয়া নেয় পরে শরীফ ভাই আবার অন্য লোকদের সাবলিজ দেয়। নতুন করে আমরা লিজ নিতে পারব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনি ভদ্রলোককেন এসবের মধ্যে আসবেন ।তবে একান্ত ই লিজ নিতে চাইলে মালিক পক্ষের লোক মহিউদ্দিন স্যার চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়া গেছেন তিনি আসলে যত জায়গা লাগে আপনাকে দিতে পারব কোন অসুবিধা নাই।

    এব্যাপারে লিজ গ্রহীতা শরীফ বলেন আমি ২(দুই বছর) এর জন্য একর প্রতি(বাৎসরিক) ৩০০০ টকা করে জমি লিজ নিয়া সবজি চাষ করছি।

    লিজ গ্রহিতা সামছুদ্দিন জানান,আমি নতুন করে কিছু জায়গা নিছি বর্তমানে এক্সেভেটার দিয়া টিলা,গাছের মোড়া ও জঙ্গল পরিস্কার করতেছি।কত টাকা করে লিজ নিছেন বল্লে তিনি বলেন যে একর প্রতি(বাৎসরিক) ৩০০০ টকা করে সেটা ত নিয়ম ই শুধু আমি না এখানে স্থানীয় গ্রামের শরীফ,কামাল,কুতুব,জালাল আর ও অনেকেই লিজ নিয়া সব্জি চাষ করছে।

    এব্যাপারে বাগান ব্যবস্থাপক সামসুল হক ভুইয়া লিজ দেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে করে বলেন আমি নাম মাত্র টাকা দিয়া স্থানীয় বেকারদের কাজে লাগাইছি এবং আমার বাগানের সব্বজি দিয়া আশে পাশে এলাকার সব্জির চাহিদা মিটাচ্ছি। চা-বাগানের ভুমিতে অন্য কোন কিছু চাষ করা যায় না এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন দেখেন বিষয়টি এভাবে না দেখে অন্য ভাবে দেখেন ভাই আসলে আমার বাগানের মোট আয়তন হল ৯৫০ একর এর মধ্যে মাত্র ৩০০ একর আমরা চা চাষ করছি ,প্রতিবছর আমাদের কোম্পানীর দেড় কোটি টাকা লছ হচ্ছে। এর জন্য আমাদের পতিত জায়গা গুলী স্থানীয় লোকদের দিচ্ছি তারা জায়গা গুলি পরিস্কার করে চাষাবাদ করছে।তাদের পরিষ্কার করা জায়গায় পরবতীতে আমরা সহজেই চা গাছ লাগাতে পারব। এটা আমাদের একটা কৌশল।

    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন আমাদের চা-বাগানের যে নীতিমালা বা আইন আছে সে খানে কোন ভাবেই চা বাগানের ভুমি অন্য কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবে না এবং কোন ভাবেই পাহাড়ের টিলা কেটে সমতল করতে পারবে না বা সাবলিজ ও দিতে পারবে না যদি কেউ সাবলিজ দেয় তাহলে তার লিজ বাতিল বলে গন্য হইবে।আর পাহাড়ের টিলা কাটা ফলে এক সময় বড়ধরনের পরিবেশ বির্পযয় আশংকা থাকে এবং আমাদের জীব বৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন হবে । বাগান র্কতৃ পক্ষ কে আইনের আওতায় এনে তাদের লিজ বাতিল করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করছি।

    চা বাগান বাষিক কার্যক্রম মূল্যায়ন কমিটি সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর হাসান বলেন ,আমি বিষয়টি জানি না কেউ এখন র্পযন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলেনি আমি খোজ নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

    চা বাগান বাষিক কার্যক্রম মূল্যায়ন কমিটি সদস্য জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি শুনার পর বলেন আপনি মাধবপুরের ইউ এন ও সাথে কথা বলেন তিনি ব্যবস্থা না নিতে পারলে আমি দেখব।

    সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তর এর পরিচালক মো: এমরান আহমেদ বলেন পাহাড়ের টিলা কাটা অবশ্যই অন্যায় আমি অতি তারাতাড়ি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব ।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST