বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
ছাত্র শ্রমিক সংঘর্ষে রণক্ষেত্র খুলনা সোনাডাঙ্গা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল। নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশের হস্তক্ষেপে তিন থেকে চার ঘন্টা পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ৪ ডিসেম্বর বুধবার বেলা তিনটার দিকে ঘটনা সূত্রে জানা গেছে রাজিব পরিবহনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ঢাকা থেকে খুলনায় আসার সময় বাসটির হেলপারের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে একপর্যায়ে সোনাডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এর নিকটে এসে ওই ছাত্রকে নামিয়ে বেধড়ক মারপিট করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যখম অবস্থায় ক্যাম্পাসে ফিরে গিয়ে ছাত্রদেরকে বিষয়টি জানালে সাথে সাথে ২০-২৫ জন ছাত্র সোনাডাঙ্গা টার্মিনালের শ্রমিক নেতা ও মালিকদের সাথে বিষয়টি অবগত করতে গেলে সেখানেও শ্রমিক নেতাদের উপেক্ষা করে শ্রমিকরা সংঘবদ্ধভাবে দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় ছাত্রদের লাঞ্ছিত করে।

বিজ্ঞাপন
পরে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় ফিরে এগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সকল ছাত্ররা সম্মিলিতভাবে বাস টার্মিনালে মহড়া দিলে তখন শ্রমিকদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়, এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পাশে থাকা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার প্রশাসন কর্মকর্তা সহ নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, ডিবি পুলিশ এসে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে, অথচ তার আগে বেশ কয়েকজন ছাত্র শ্রমিকদের হামলায় গুরুতর জখম হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন ছাত্রকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ভর্তি করা হয় তার মধ্যে দুই থেকে তিনজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক সম্মিলিতভাবে দাবি জানিয়েছেন তাদের সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাস টার্মিনাল থেকে একটি বাসও ছেড়ে যেতে পারবে না প্রয়োজনে ছাত্র শিক্ষক সম্মিলিতভাবে কঠোর আন্দোলন করতে প্রস্তুুত। এর মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র বলেন আমরা দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন করেছি বাস শ্রমিকদের হাতে মার খাওয়ার জন্য না। রক্ত দিয়েছি প্রয়োজনে আরো রক্ত দেবো তবে এ ধরনের পৈচাশিক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে ঘরে যাব না। অপরদিকে বাস শ্রমিক সংগঠনের সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের সাথে আলোচনায় বসার চেষ্টা করছে। তবে ঘটনায় যারা লাঞ্ছিত হয়েছে জখম হয়েছে তাদের কথা যে সমস্ত শ্রমিকরা ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কোন দাবি মানবো না। এমনকি একটি বাসের ও চাকা এক চুল পরিমাণে চলতে দেওয়া হবে না। এ সময়ে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষকদের সাথে কথা বলে তাদের আশ্বাস দেন বিষয়টি গুরুত্বতার সাথে আমরা হস্তক্ষেপ করব এবং জড়িত অপরাধীদের যত দ্রুত সম্ভব হয় পুলিশ প্রশাসনের অভিযানের মাধ্যমে আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ছাত্রদের কে ক্যাম্পাসে পাঠালেও পরিস্থিতি গভীর রাত পর্যন্ত থমথমে রয়েছে এমনকি বেশ কিছু ছাত্র বাস টার্মিনাল ঘিরে রেখেছে ।