জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভালো মানের সেবার তালিকায় যাচায় বাছাই করে সারা বাংলাদেশের ৩০ নং তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কতৃক।
হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে ৫০ শয্য বিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও চাহিদা মোতাবেক নেই ডাক্তার, নার্স, স্যাকমো ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। সেকারণেই পড়তে হয় নানাবিধ সমস্যায়।
সরকারি বিধি মোতাবেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহ মোট ৩৪ ডাক্তারের মধ্যে আছে মাত্র ১১ জন। ৩৪ জন নার্সের মধ্যে ২১ জন,স্যাকমো ১৪ জনের মধ্যে আছে মাত্র ০৪ জন। আউট সোর্সসিং এর ১৫ জন কর্মচারী থাকলেও তাদের বেতন প্রায় ২ বছর বন্ধ আছে। প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী ভর্তি থাকে কিন্ত আসন ব্যাবস্থা মাত্র ৫০ টি যার ফলে অনেক রোগীর মেঝেতে থাকতে হয়। ঠিক তেমনী ওষুধ ও খাবার বরাদ্দ ও ৫০ জনের সেই ওষুধ ও খাবার বন্টন করতে হয় অতিরিক্ত রোগীদের মাঝে। এবছর ওই হাসপাতালের ডাক্তার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ (আরএমও) সুরেশ কুমার নন্দী মরনঘাতী রোগ ডেংগু রোগীকে কোন উন্নত চিকিৎসার জন্য কোন হাসপাতালে প্রেরন করেন নাই। তিনি সকল রোগীকে সেবা দিয়ে সুস্থ করেছেন। প্যাথলজিতে প্রর্যপ্ত রিজেন্ট না থাকায় প্যাথলজি টেষ্টেও ভোগান্তির শিকার হন সাধারণত সেবা গ্রহিতারা। গত ২৩/২৪ অর্থ বছরে প্যাথলজি থেকে টেস্ট বাবদ ৩০/৩৫ হাজার টাকা জমা হতো প্রতি মাসে কিন্ত এবছর প্রতি মাসে ১ লাখ ৩০/৪০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। উল্লেখ্য যে প্রতিদিন আউট ডোরে ৪৫০ থেকে ৫০০ জন রোগীকে দেখা হয়। তাছাড়া ইতি পূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (UHFPO) কখনো রোগীর সেবা দিতেন না কিন্তু বর্তমানে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবুল হাসনাত ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের সেবা দেন এমনকি তার অফিস কক্ষে ও রোগীকে সেবাদেন।
সারা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা জরিপে ৫শ হাসপাতালের মধ্যে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভালো সেবা মানের ৩০ নং তালিকায়। যদি চাহিদার ৬০% জনবল থাকতো তাহলে বাংলাদেশের এক থেকে ১০ নং তালিকায় স্থান হতো নেটিজেনদের ধারনা।
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরএমও ডাঃ সুরেশ কুমার নন্দীর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আপনারা জানেন জনবল অনেক সংকট তারপর ও সারা বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবা তালিকা ৩০ নং তালিকায় আছে। আশা করছি আগামীতে সেবার মান আরো ভালো হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবুল হাসনাতের সাথে কথা হল তিনি বলেন আমার সর্বোচ্চ দিয়ে সেবা দিচ্ছি। জনবল বাড়ালে চিকিৎসার মান আরো ভালো হবে। গরীব দুখীদের সহজে সেবা দিতে পারবে। একজন ডাঃ হিসাবে মানব সেবাই আমার কাজ। আমি আগামী বছর এই সেবার মান ১ থেকে ১০ এর তালিকায় আনতে চাই। সেকারনে স্থানীয় রাজনীতিবিদ,সমাজ সেবকদের এগিয়ে আসতে হবে।

