বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে খুলনার প্রতিটা স্তরের জনগণের মাঝে চলছে তুমুল
আলোচনার ঝড়।
জেলার ৬টি আসনে উপযুক্ত প্রার্থী নির্ধারিত হওয়ায় সঠিক পথেই অগ্রসর নির্বাচনের সমীকরণ।
তাই সকল উন্নয়ন এর অগ্রগতি ও আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ধাপে ধাপে আরো তুরাম্বিত করার লক্ষ্যে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নৌকা প্রতীক পুনরায় বিজয় অর্জন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নে লালিত বাংলাদেশকে সর্বক্ষেত্রে আরো উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিত করতে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে পুনরায় দেশের মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে হবে সেই প্রত্যয় নিয়ে দেশের সকল প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তফসিল ঘোষণার পর নানান গুঞ্জনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রাপ্তির প্রতিফলনের এক নব দিনের সূর্য উদিত হয়েছে নির্বাচনের আকাশে।
দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারক মহলের চুলচেরা বিশ্লেষণে মনোনয়ন বোর্ডের বিজ্ঞ ব্যক্তি আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের
ফলপ্রশু আশা ব্যঞ্জতায় ২৩ নভেম্বর থেকে দফায় দফায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মাধ্যমে এক মহা সন্ধিক্ষণে আওয়ামী লীগের দলীয় ৩০০ আসনের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা গত ২৬ নভেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে প্রকাশ করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এতে প্রার্থী সহ ভোটারদের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাসের সাথে দেশব্যাপী উৎসব আমেজের সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।
জল্পনা কল্পনা আলাপ-আলোচনার মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে হোটেল চায়ের দোকান আড্ডাস্থল থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লার অলিতে গলিতে।
সাথে রাজনৈতিক অঙ্গনতো রয়েছেই। কারোর প্রাপ্তির ঝুলিতে এসেছে দেশের জনমানুষের পাশে থেকে স্বপ্নপূরণে অঙ্গীকারের প্রত্যাশা পূরণের এক দৃঢ় প্রত্যয়ের সম্মুখ পদার্পণ।
কেউ আবার অনেক আশা বুকে বেঁধে রেখেও অবশেষে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সান্তনার বাণী সাথে নিয়ে এলাকায় ফিরতে হয়েছে।
তার মধ্য দেশের ৬৪ টি জেলার অন্যতম বহু আলোচিত খুলনা জেলার ছয়টি নির্বাচনী এলাকায় ৪৬ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রত্যাশার ছিলনা কোনো কমতি।
সেই লক্ষ্যে যে যে প্রার্থী যে এলাকায় নির্বাচন করার উদ্দেশ্যে নমিনেশন জমা দিয়েছিল দীর্ঘদিন পূর্বের থেকে সে সকল এলাকায় জনসংযোগ ও অর্থ বিনিয়োগ করে ভোটারদের মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করলেও দলের সুচতুর অতি অভিজ্ঞ মহোদয়গণ দলের সঠিক কান্ডারিদের উপর দেশ পরিচালনার গুরু দায়িত্বভার ন্যস্ত করতে ভুল করেনি।
এ লক্ষে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বিবৃতিতে বলেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের তথা এলাকার জনগণের কাছে যোগ্যপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন তাদেরকে শুভকামনা জানানোর পাশা পাশি যে সকল নমিনেশন প্রত্যাশি প্রার্থীরা মনোনীত হন নাই সে সকল নেতাকর্মীদের নিজ এলাকায় গিয়ে দলীয় তথা নৌকার প্রার্থীদের সহযোগিতা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নৌকা প্রতীককে বিজয় করার লক্ষ্যে সকলের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার কোন কমতি থাকবে না এই আশা ব্যক্ত করেন সকল নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে।
তবে দলের সিদ্ধান্তে শান্তিপূর্ণভাবে আনুষ্ঠানিকতার সাথে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রার্থী তালিকার নাম ঘোষণা করলে সাবেক এবং প্রবীন হ্যাবি ওয়েট কিছু সংখ্যক ব্যক্তিগণ নৌকার বৈঠা হাতে না পাওয়ার কারণে তাদের সমর্থনকারীরা ক্ষোবে কষ্টে বিক্ষোভ করেছে ।
আর এমন বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে খুলনা জেলার ৩ নং আসনের সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের এলাকায়। এদিকে খুলনা ৫ আসন থেকে নমিনেশন জমা দিয়েছিল খুলনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সাইফুল ইসলাম।
কিন্তু অবশেষে নমিনেশন বঞ্চিত হতাশা আর গ্লানিতে ধূসর স্বপ্ন ভঙ্গ
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে সাবেক স্থানে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে।
অথচ তিনি অত্র এলাকা জুড়ে প্রায় মাস তিনেক যাবৎ জনগণের মাঝে মিশে এলাকার আনাচে-কানাচে চোষে বেড়িয়েছে এলাকা। জনসংযোগ করেছে, ভোট প্রত্যাশা করেছে, অসংখ্য অসহায় দুঃস্থ মানুষদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে অর্থ খরচ করেছে,
তাসত্ত্বেও দলের প্রবীণ নেতা ৫ বারের নির্বাচিত এমপি এবং সাবেক মৎস্য ও প্রাণীসম্পাদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এলাকার জন মানুষের প্রিয় নেতা সুখ-দুঃখের সাথী যিনি আওয়ামী লীগ বিরোধী দল থাকা অবস্থায়ও নৌকার প্রতীক নিয়ে বিজয় হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ আসন উপহার দিতে সক্ষম হয়েছেন।
তারি ধারাবাহিকতায় তিনি এবারও খুলনা ৫ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতৃক নমিনেশন প্রাপ্তিতে পুনরায় নৌকার মাঝি হয়ে হাল ধরে আবারো এলাকার মানুষের সেবা করার আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি ।
তবে চমকপ্রদ ভাবে নতুন মুখ এসেছে খুলনা জেলার ৩ ও ৬ আসনে।
খুলনা তিনের সাবেকের শ্রম প্রতিমন্ত্রীর মন্নুজান সুফিয়ান এবার নির্বাচনে বঞ্চিত হওয়ার কারণে সেখানে চমকপ্রদ প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল খুলনার এই আসনের মানুষের জন্য নৌকার ত্রহী কর্তা হিসেবে বৈঠা হাতে নিয়েছেন।
এদিকে মা মাটির অবহেলিত নোনা পানিও ভেরিবাদ সংরক্ষণ ঘের বিরোধী আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা মোঃ রশিদুজ্জামান ৬ আসনের অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে নৌকার মাঝি হলেন।
অপর প্রান্তে ৪ আসনে খুলনা মহানগর যুবলীগের নব্য সভাপতি তরুণ নেতা মোঃ শফিকুর রহমান পলাশ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মানুষের সাথে মিশে তাদের সুখ-দুঃখের ভাগীদার হয়ে নৌকার কান্ডারী হওয়ার প্রচেষ্টা চালালেও অবশেষে এম পি সালাম মুর্শিদী ফের নৌকার মাঝি।
এদিকে গতকাল ২৮ নভেম্বর খুলনা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে এক আনুষ্ঠানিকতার সাথে ৬ মনোনয়ন প্রাপ্তিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও বরণ করে নেন খুলনার আওয়ামী লীগ এর সকল শ্রেণির নেতাকর্মীগণ।