মশিউর রহমান সুমন
ভারত মহাসাগরে ছিনতাইয়ের শিকার বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দিতে ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। শিগগিরই না দিলে তাদের মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাহাজে আটকে পড়া কিছু নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা। এদিকে মুক্তিপণ নিয়ে জাহাজটির মালিকপক্ষ থেকেও দস্যুদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কেউ মুখ খুলতে চায়নি।
চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন ২৩টি জাহাজের একটি এমভি আবদুল্লাহ। এর পণ্য পরিবহন ক্ষমতা ৫৮ হাজার টন। জাহাজটি কবির গ্রুপের সহযোগী সংস্থা এসআর শিপিং লিমিটেডের। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।
মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা রয়েছে। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।
কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেছেন, ‘জাহাজের মালিকপক্ষ নাবিকদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূভাবে শেষ করতে মালিকপক্ষ বদ্ধপরিকর।’
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এর আগেও গ্রুপটির জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। তখনও সফলভাবে আলোচনা শেষ করে মালিকপক্ষ নাবিকসহ জাহাজটি উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছিল। অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার আরও বেশি আন্তরিকতার সঙ্গে মালিকপক্ষ কাজ করছে।’
৫ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আলোচনা চলছে। মুক্তিপণ বিষয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত নাবিকদের ফিরিয়ে আনার। এ মুহূর্তে জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে সর্বশেষ বার্তায় নাবিকেরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত নাবিকেরা ভালো আছেন বলে তথ্য রয়েছে।’
এদিকে জাহাজে নাবিকদের জিম্মির পর তাদের একটি কেবিনে রাখা হয়েছিল। এরপর নাবিকরা নিজেদের মোবাইল থেকে কয়েকটি ভিডিও বার্তা পাঠালেও সেগুলো জলদস্যুরা জব্দ করে নেওয়ার পর থেকেই যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জাহাজটিতে ২০-২৫ দিনের খাবার রয়েছে। ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি রয়েছে বলে জানা গেছে।
 
        
 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
								                                                                                     
                                     
                                 
                                 
                                 
                                 
                                