মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার কাঁঠালিয়া উপজেলার উত্তর তালগাছিয়া মুর্শিদাবাদ বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মো. শহিদুল ইসলামের মায়ের দোয়া নামে ওয়ার্কশপে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম হাওলাদার ওই এলাকার মো. সফিজউদ্দিন হাওলাদারের বড় ছেলে।
শহিদুল ইসলাম হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ১৫ বছরের প্রতিষ্ঠিত তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেরামতের কাজ চলছিল। শনিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় মৃত আব্দুর রহমানের পাঁচ ছেলে আল-আমিন, বাদল, শামিম, এলেন, আজাদ ও দুই নাতি জিসান, মুন্নাসহ ভাড়াটিয়া ৬০-৭০ জন লোক শহিদুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাকি ভারি মালামাল ওয়েলডিং মেশিনসহ সবকিছু প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন খালে ফেলে দেয়। এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুতের মিটারটি কেটে নিয়ে যায়। এতে তাদের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সরকারের জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে কাঁঠালিয়া থানা পুলিশকে জানালে তাঁরা লুটপাটের পরে ঘটনাস্থলে এসেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি একাধিকবার লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ কোন অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
শহিদুল ইসলাম আরো জানান, মৃত আব্দুর রহমানের আরেক ছেলে জাতীয় জাতীয় পার্টির (জেপি) যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল ঢাকায় বসে ভাইদের এসব কাজে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তাঁর নির্দেশেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ভাঙচুর ও লাটপাট করা হয়েছে। তিনি প্রভাব খাটিয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন শহিদুল ইসলাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য পনির হোসেন বলেন, শহিদুল ইসলাম তাঁর পুরাতন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেরামত করছিল। হঠাৎ বৃষ্টির মধ্যে ৭০-৮০ জন লোক এসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে জানায় এখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে। এখানে কোন কাজ করা চলবে না। অথচ আমি কাগজ দেখেছি এই জায়গায় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ আল-মামুন ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধ আছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ওই জমিতে। প্রতিপক্ষরা পুরাতন ঘর মেরামত করতে ছিল সে কাজ বন্ধ করেছি মাত্র।
জাতীয় পার্টির (জেপি) যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল বলেন, আমাদের সঙ্গে জমি নিয়ে পুরনো বিরোধ রয়েছে শহিদুল ইসলামের। আমি ঢাকায় থাকি। আমার পরিবারের কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেনি, তাঁরা নিজেরাই লোকজন নিয়ে ভেঙে আমাদের নামে দোষ চাপাচ্ছে।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষকেই এ ব্যাপারে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ রয়েছে এখানে। ভাঙচুরের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।