মোঃ আরফাতুল ইসলাম কক্সবাজার জেলা,প্রতিনিধ।
র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পশ্চিম কচুবনিয়া এলাকায় প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম তথা আলমরি জান প্রকাশে রুপার বসত বাড়িতে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ২০.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার টেকনাফ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে ছেনুয়ারা বেগম এবং আলমরি জান প্রকাশে রুপা নামে দুইজন কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের দেহ ও ঘর তল্লাশী করে। তারপর ধৃত আলমরি জান প্রকাশে রুপা’র বসত ঘরের টেবিলের নিচে থাকা সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে *সর্বমোট ৭.৫ কেজি গাঁজা ও ২০ বোতল ফেনসিডিলসহ জব্দ* করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় *১। ছেনুয়ারা বেগম (৪২)*, স্বামী-নুরুল আবসার মায়া, স্থায়ী সাং-ছোট হাবিব পাড়া, ওয়ার্ড নং-০৭, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার, বর্তমান সাং-পূর্ব নয়াপাড়া, ওয়ার্ড নং-০৯, ইউপি-খুটাখালী, থানা-ইদগাও, জেলা-কক্সবাজার, *২। আলমরি জান প্রকাশে রুপা (৩৩), স্বামী- জাহাঙ্গীর আলম, স্থায়ী সাং-নাইট্যংপাড়া, ওয়ার্ড নং-০১, টেকনাফ পৌরসভা, বর্তমান-পশ্চিম কচুবনিয়া, ওয়ার্ড নং-০৭, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন, উভয় থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী দীর্ঘ দিন ধরে গাঁজা ও ফেনসিডিল ব্যবসার সাথে জড়িত। তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ফেনসিডিল ও গাঁজা টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছে।
উদ্ধারকৃত মাদকসহ গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে সংশ্লিষ্ট থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।