নজরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ :
সিরাজগঞ্জের এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামের ডজন খানেক অভিযোগে গত ৪ মাস আগে বদলি করা হয়। তার চারদিন পর বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়। অবশেষে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বদলির সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
গতকাল (১৯মার্চ) মঙ্গলবার প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলী আক্তারের স্বাক্ষরিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ৪৬.০২.০০০০.০০১.৯৯.১৩০.১৮- ১৮৪৩১৫ নং স্মারকে সফিকুল ইসলামকে পাবনা আঞ্চলিক অফিসে এবং ৪৬.০২.০০০০.০০১.৯৯.১৩০.১৮- ১৮৪৩১৬ নং স্মারকে পাবনা আঞ্চলিক অফিস থেকে মনিরুল ইসলামকে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে
সরেজমিনে অফিস ঘুরে দেখা যায়, নবাগত মনিরুল ইসলাম তার কক্ষে বসে কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করছেন। এদিকে বদলী হওয়া নির্বাহী সফিকুল ইসলামের বিষয়ে জানা যায়, বদলির ১০ ঘন্টা পার হলেও আবারও উপর মহলকে ম্যানেজ করে দ্বিতীয় বারের মতো বদলীর স্থগিতাদেশ করাতে ঢাকায় চলে গেছেন।
নাম না বলা শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, গাড়ি চালক নাজমুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ভোর ৬/৭টার দিকে এলজিইডি’ প্রধান কার্যালয়, আগারগাঁও অফিসে বদলী ঠেকাতে তদবির করাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
ছুটি বিষয়ে অফিস সহকারী প্রদীপ বলেন, অফিস থেকে ড্রাইভার নাজমুল ও নির্বাহী স্যার ছুটির কোনো কাগজপত্র রেখে যায়নি। তবে চীফ স্যারের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই।
যান্ত্রিক শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, সরকারী গাড়ি জেলার বাহিরে ব্যবহারের কোনো অনুমতি নেই। ড্রাইভার আমাকে না জানিয়েই গাড়ী নিয়ে চলে গেছে।
এ বিষয়ে গাড়ি চালক নাজমুল ইসলাম জানান, স্যার আমাকে নিয়ে ভোর ৬ টায় ঢাকা আগারগাঁও অফিসে নিয়ে এসেছে। সেখানে যাওয়ার বিষয়ে মুভমেন্ট রেজিস্ট্রার অনুসরন ও ছুটি নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি হুকুমের গোলাম। আমাকে ঢাকায় বড় স্যার নিয়ে আসছে।
সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আহরাম আলী জানান, স্যার আমাদের কিছুই না জানিয়ে কোথায় চলে গেছেন তা জানি না। তিনি অফিসের বস, আমি তো তাকে প্রশ্ন করতে পারি না।
এ বিষয়ে নবাগত নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, আমি গতকাল ফোন দিয়েছিলাম। আজ সকালে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার জন্য। এসে দেখি তিনি নেই।
এবিষয়ে সফিকুল ইসলামকে মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি অফিসের বাহিরে আছেন বলেন জানান।
অফিস ত্যাগ করার বিষয়ে রাজশাহী অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন, সফিকুল ইসলাম আমার কাছ থেকে আজ কোন প্রকার ছুটি নেয়নি। তবে তিনি দুর্নীতির অভিযোগে গত ৪ মাস আগেই তাকে বদলি হয়েছে।