সুলাইমান পোদ্দার , তজুমদ্দিন প্রতিনিধি।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র নয়দিন। প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন মণ্ডপে কর্মরত মৃৎশিল্পীরা। বিগত বছরগুলোর মতোই এই বছর ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫ টি মণ্ডপে জাঁকজমকভাবে পালিত হবে দুর্গাপূজা।
তজুমদ্দিন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, তজুমদ্দিন চাঁদপুর ইউনিয়নে ১০ টি ও সম্ভুপুর ইউনিয়নে ৫ টি মণ্ডপে পূর্জা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রতিমার কাজ শেষ পর্যায়ে, এখন চলছে রং-তুলির আঁচড়ে দুর্গা দেবীকে সু-সজ্জিতর কাজ। এরপর উৎসব মুখর পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে প্রতিমাসহ মণ্ডপে শেষ হচ্ছে আলোকসজ্জার কাজ।
রং শিল্পী লিটন বিশ্বাস জানান, দূগা প্রতিমাকে রং করতে খুবই ভালো লাগে রং করে খুবই আনন্দ পান তিনি আরো জানান, হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা উৎসব। দুর্গা উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে মায়ের প্রতিমা গড়ে থাকেন। প্রতিমা শিল্পী হিসেবে সেটি তাদের অনেক বড় পাওয়া এবং বিভিন্ন পূজামণ্ডপে বিভিন্ন আদলে মায়ের আলোকসজ্জার কাজ করে থাকেন।
২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী থেকেই পুজা মন্ডপগুলি ঢাক-ঢোলসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের শব্দে মুখরিত হবে। ২ অক্টোবর দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ঘটবে এ বছর দুর্গা পূজার সমাপ্তি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিন থেকেই দেবীর আগমন উৎসব শুরু হয়। বিগত বছরগুলো থেকে এ বছর প্রতিমা তৈরির খরচ বেশি বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তজুমদ্দিন উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অরবিন্দ দে টিটু জানান, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে তজুমদ্দিনের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
তিনি আরও জানান, প্রত্যেক মণ্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির কয়েকটি নির্দেশনা মেনে পূজা সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাব্বত খান জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং কোনো মণ্ডপে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে পুলিশের নজর থাকবে। পাশাপাশি নৌবাহিনী, আনসার নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে বলেও জানান তিনি।