মোঃরিপন রেজা স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ পশ্চিম সৈয়দপুর এলাকায় দুই শিশুর ধর্ষণ মামলার আসামী শিপন আহম্মেদ(৩৪)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।মামলা গ্রহণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিলেট জেলা হতে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।সে সিলেটের গোটাটিকর উছবাড়ীর হারিছ মিয়ার ছেলে।মঙ্গলবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়- ৮ই ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৪ টায় ২ শিশুকে টিভিতে কার্টুন দেখানোর কথা বলে শিপন আহম্মেদ তার ঘরে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। এর পূর্বে-ভিকটিমের মাও মামলার বাদীর স্ত্রী শারীরিক অসুস্থাতার কারণে শ্বশুর বাড়ি চাঁদপুরে চলে যায়।এর পর ভিকটিমের পিতাও মামলার বাদী নিজের নাবালিকা মেয়েকে একই এলাকায় বসবাসরত তার ফুফুর কাছে রেখে টঙ্গি বিশ্ব ইজতেমায় চলে যান।১১ই ফেব্রুয়ারি বাসায় ফিরে সে জানতে পারে-শিপন আহম্মেদ তার নাবালিকা মেয়ে ও পাশের ঘরের শিশুকে কৌশলে ধর্ষণ করেছে।এ ঘটনা আশপাশের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পরস্পর যোগসাযোশে ধর্ষণ ঘটনার বিচার শালিস করে আসামি শিপনকে তার বাড়ি হতে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।পিবিআই জানায়-১০ই মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ভিকটিমের পিতা মামলা দায়ের করে।পিবিআইয়ের আভিযানিক টিম মামলা গ্রহণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিলেট থেকে শিপন আহম্মেদকে গ্রেফতার করে।এদিকে,১০ই মার্চ ভিকটিমদের আদালতে আনা হলে তারা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমিনের আদালতে আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের স্বপক্ষে জবানবন্দি প্রদান করে।গ্রেফতার শিপন আহম্মেদ(৩৪)কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বর্ণিত ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।ঘটনার সময় আসামী শিপনের স্ত্রী ইতি আক্তার তার সন্তানসহ তার বাবার বাড়ি পুরাতন সৈয়দপুর এলাকায় ছিল।এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আসামী শিপন আহম্মেদ নাবালিকা ভিকটিমদের ধর্ষণ করে।মামলার ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামী যারা পারস্পরিক যোগসাজোসে বিচার শালিসের নামে আসামী শিপন আহম্মেদকে পালিয়ে যেতে সহায়তাসহ বাদী পক্ষকে বিচার পেতে বাধাঁর সৃষ্টি করেছে সেই বিষয়ে জোর তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পিবিআই।