লোহাগড়া প্রতিনিধি নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামে জোড়া হত্যাকান্ডের পর বাদী পক্ষের লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার আসামীরা জামিনে এসে এ ভাংচুর লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা ও মালামাল উদ্ধার।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চরমল্লিকপুর গ্রামের মিরান ও জিয়ারুল নামে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে গ্রামের প্রতিপক্ষরা।জোড়া খুনের পর লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করে,বাকী আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পন করে।আসামীরা কিছু দিন জেল হাজতে থাকার পর গত ১৫ দিন আগে জামিনে এসেছে। জামিনে এসেই তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
চরমল্লিকপুর গ্রামের প্রয়াত পুলিশ সদস্য নুর মোহাম্মদ ফুল মিয়ার ছেলে মিলন জানান, গত বুধবার রাতে(২৯জানুয়ারি) আমার ভাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট নজরুল শেখ, মোজাদ্দেদ জামান, মুুক্তাদেদ জামান সহ গ্রামের আশরাফুল শেখ, আজাহার মোল্যা,মিজু শেখ, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আমির হোসেন এর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। চার হত্যা মামলার আসামী হিরন মৃধার নেতৃত্বে ঝন্টু শেখ, ইমন শেখ, সোহেল মৃধা, হাসিব মৃধা, মিন্টু শেখ, শরিফুল শেখ, হাসান মৃধা, মাসুম শেখ এর নেতৃত্বে ১২০/১৩০ জনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়।স্বজনরা জানায় এঘটনায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে বলে জানান স্বজনরা।তাছাড়া তারা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।
এঘটনায় মামলার ১ নং আসামি ইকবাল শেখের সাথে কথা হলে তিনি বলেন এমন কোন ঘটনা আমার জানা নাই। কে বা কাহারা করেছে আমি বলতে পারি না। তারা নিজেরা করে আমাদের উপর দায় চাপাতে পারে।
এঘটনায় লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১১/৫৩ তারিখ ১৫ মার্চ ২০২৪।মামলা হওয়ার পরপর লোহাগড়া থানা পুলিশ আসামি হাসান মৃধা,সোহেল মৃধা ও হাসিব মৃধার বাড়ি থেকে লুটের মালামাল উদ্ধার করে।
এঘটনায় লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে,আসামিদের ধরার জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে।