রফিকুল ইসলাম দুর্গাপুর উপজেলা প্রতিনিধ
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন বালুমহাল থেকে স্তুপ করা সরকারি পাথর, সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। এমনই এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় চৈতাটি ঘাট থেকে বাল্কহেড (বড় ট্রলার) ও সোমেশ্বরী ঘাট থেকে ট্রাক বোঝাই পাথর আটক করে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, সোমেশ্বরী নদীতে পাঁচটি বালুমহাল রয়েছে। এর মধ্যে এক বছরের জন্য পাঁচটি ঘাটের শুধু বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দেওয়া হলেও বালুর সঙ্গে উত্তোলিত পাথর কোনো ইজারা না দেওয়ায় সেগুলো সরকারি হাওলাতেই থেকে যায়। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ১৫দিন পর পর উত্তোলিত পাথর সরকারি নিলামের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের জন্য অপসারনের নির্দেশ দিলেও একটি চক্র পাথর চোরাইয়ের ধান্ধায় থেকে যায় প্রতিনিয়ত। এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয়রা ওই চোরাই পাথর আটক করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, পাথর ইজারার সময় অতিবাহিত হওয়ার পর, স্থানীয় বিডার কিভাবে রয়েলিটি রেখে পাথর অপসারনের সুযোগ করে দেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিক দৃষ্টি না দিলে, সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাবে।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি ভাবে পাথর নিলাম দেয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাথর সরিয়ে না নেয়া হলে ওই পাথর সরকারি সম্পত্তি। চোরাই ভাবে পাথর নেয়ার কোন সুযোগ নাই। থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে পাথর আটক করার জন্য। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।