ঢাকাTuesday , 28 January 2025
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন আদালত
  6. আটক
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আবহাওয়া
  9. ইতিহাস
  10. কবিতা
  11. কুষ্টিয়া
  12. কৃষি
  13. খুন
  14. খেলাধুলা
  15. চাকুরী
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • বিজ্ঞাপন

    বিজ্ঞাপন

  • দেশজুড়ে চলছে রেলের রানিং স্টাফ কর্মকর্তাদের কর্ম বিরতি, প্রভাব পড়েছে খুলনায়ও।

    দেশ চ্যানেল
    January 28, 2025 10:07 am
    Link Copied!

    বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:

    নতুন বছরের জানুয়ারি মাস শুরুতেই রেলের রানিং স্টাফ কর্মকর্তাগণ ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল যা সারা দেশের মানুষ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ফেসবুকের প্রচারের মাধ্যমে অবগত হলেও বিষয়টি তেমন মালুম করেনি। তবে কর্মকর্তাদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোর থেকে কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে সমগ্র দেশব্যাপী রেল চলাচল বন্ধ রেখেছে যার প্রভাব খুলনাতেও পড়েছে। ভোগান্তিতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার অসংখ্য মানুষ।

    ভুক্তভোগী তেমন একজন যাত্রী তার পরিবার নিয়ে খুলনা রেলস্টেশনে এসে দেখে রেল চলছে না রেল অবরোধ ফলে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অনেক ভোগান্তিতে পড়ে গেলাম এবং রেলস্টেশনে এসে শুনতে পেলাম গভীর রাত পর্যন্ত বহিরাগত ট্রেন খুলনা রেলস্টেশনে ঢুকলেও সকাল থেকে ছেড়ে যায়নি একটিও ট্রেন ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে খুলনা দক্ষিণ অঞ্চলের অসংখ্য যাত্রী, শীত মৌসুম চলার কারণে দক্ষিণ অঞ্চল সুন্দরবন সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দর্শন করার লক্ষ্যে যে সকল যাত্রীরা খুলনা এসেছিল তারা ফেরার জন্য নিরুপায় হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি যে সকল যাত্রী পূর্বের থেকেই অনলাইন ও সরাসরি টিকিট সংগ্রহ করেছিল তাদের টিকিটের মূল্য ফেরৎ দেওয়ার জন্য একটি কাউন্টার খোলা রেখেছে খুলনা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এসব কথা নাগরিক ভাবনাকে জানিয়েছে খুলনা রেলওয়ে জোনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এসময় তিনি কর্ম বিরতির বিষয়ে উল্লেখ করে বলেন মূলত আমাদের এই কর্ম বিরতি কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে রানিং স্টাফদের বিভিন্ন দাবিয়ে দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে। প্রধান দাবি সমূহর মধ্যে রয়েছে মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় অবশেষে কর্মবিরতিতে গেল বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।

    এদিকে কর্মবিরতির অংশ হিসেবে রাত ১২টা পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে উঠেননি রানিং স্টাফরা। ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। রানিং স্টাফের মধ্যে আছেন— ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১২টার পরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। এ সময় বেশ কয়েকজন রেল কর্মকর্তাগণ একই সুরে বলেন, আমরা রেল ভবন থেকে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারিনি৷ রেল চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি। এদিকে গত রাতে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল করার পর তানার থেকে জানতে পারা যায় রাত ১২টার আগের যেসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি সেগুলো ছেড়ে যাচ্ছে এখন। তবে রাত ১২টার পরে শিডিউলের কোনো ট্রেন যাচ্ছে না। অপরদিকে খুলনার বেশ কিছু রানিং স্টাফরা জানিয়েছেন, আমরা কোনো যাত্রী সাধারণকে কষ্ট দেব না। আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত যেসব ট্রেন প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে, সেসব ট্রেনের প্রতিটি যাত্রীকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো হবে। তবে ওই ট্রেনগুলো গন্তব্য স্টেশনে পৌঁছানোর পর রানিং স্টাফরা কর্মবিরতিতে যাবেন। ফলে কর্মবিরতি রাত ১২টায় শুরু হলেও লাইনে থাকা কোনো ট্রেন যাত্রা বিরতি থাকা স্টেশন ছাড়া অন্য কোথাও না দাঁড়িয়ে গন্তব্য স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছাবেন।

    পাশাপাশি তানারা আরো জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় ট্রেন চলাচল বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানালেও দাবি আদায়ে অনড় রয়েছে কর্মসূচি ঘোষণা করা বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। সমিতির কেন্দ্রীয় ঊর্ধ্বতন নেতারা জানিয়েছেন, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ে কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত। তারা জানান, কর্মচারীদের অবসরোত্তর ৭৫ শতাংশ মাইলেজ মূল বেতনের সঙ্গে যোগ করে পেনশন নির্ধারণের বিধান প্রায় ১৬০ বছর ধরে চলমান ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে রেলওয়ের কোডিফাইড রুল অমান্য করে রানিং স্টাফদের পার্ট অব পে হিসেবে গণ্য মাইলেজ, যা যুগ যুগ ধরে বেতন খাতের অংশ ছিল, সেখান থেকে সরিয়ে টিএ খাতে নেওয়ার ফলে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানায় তবে আমরা মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকলেও তেমন কোন কঠিন কর্মসূচিতে যায়নি যা দেশের মানুষের ভোগান্তির মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায় তবে একেবারে শেষ প্রান্তে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণে আমরা এই কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি। সরকারের রেল বিভাগের দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন কর্তারা আমাদের এই কর্ম বিরতি কর্মসূচির জায়গায় এসে সন্তোষজনক পদক্ষেপ নিলে কর্ম বিরতি স্থগিত করা হবে অন্যথায় আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

    এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
  • Design & Developed by: BD IT HOST