মিজানুর রহমান
নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শ্রীরামদিয়া গ্রামে মায়ের সম্পত্তির দাবীতে অবস্থান করেন ময়না বেগম (৬৫)। ওয়ারিশ সুত্রে শ্রীরামদিয়া গ্রামের মৃত মলফু সরদার এর ১ ছেলে সাহা আলী সরদার ও ১ মেয়ে আমেনা খাতুন। সাহা আলী সরদার এর ৫ ছেলে আলেম সরদার,আলেপ সরদার,ছোরাপ সরদার,সিদ্দিকুর রহমান সরদার,আব্দুল কুদ্দুস সরদার ও ২ মেয়ে মোমতাজ বেগম,নাছিমা বেগম।
শ্রীরামদিয়া ১৬৯ মৌজার ১১৯ নং খতিয়ানের দাগ নং ১৯১৩ মোট জমির পরিমান ৩০ শতাংশ। মায়ের সম্পত্তির দাবীতে নানা বাড়িতে ময়না বেগম অবস্থান করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।মামাতো ভাইয়েরা ওয়ারিশ নামায় তার মা আমেনা বেগমকে অদৃশ্য রাখে এবং তাদের কোন( ফুফু) বাপের কোন বোন ছিলোনা।সম্পত্তির দাবীতে আসা ময়না বেগম আলেম সরদারের পালক মেয়ে। বর্মান বি এস পর্চায় দেখা যায় মলফু সরদারের মেয়ে আমেনা বেগম এর নাম নেই।পৈতৃক সম্পত্তির ওয়ারিশ সুত্রে আমেনা বেগম এর নাম বি এস রেকর্ড না থাকায় শাহা আলী সরদারের বড় ছেলে আলেম সরদার তার ফুপাত বোন ময়নার সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে চাইলেও তার অন্য ৪ ভাই ফুপাতো বোন কে অস্বীকার করেন।সাহা আলী সরদার এর বড় ছেলে আলেম সরদার ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম এর নিকট থেকে গত- ০৬-০৬-২০২৩ ইং একটি ওয়ারিশ সনদপত্র নেয় তাতে সাহা আলী সরদার ও আমেনা খাতুন এর নাম রয়েছে। মায়ের সম্পত্তি বুছিয়ে না দেওয়ায় ভাঙ্গা দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা করেন।এদিকে বিবাদী পক্ষ ৪ ভাই গত ১১-০৮-২০২৩ ইং চেয়ারম্যান কর্তৃক আর একটি ওয়ারিশ সনদপত্র নেয় তাতে মলফু সরদারের এক ছেলে সাহা আলী সরদার এর নাম রয়েছে কিন্তু বোন আমেনা খাতুনের নাম নেই।গত ২০-০৮-২০২৩ ইং তারিখে বিবাদী ৪ ভাইকে একটি লিখিত প্রত্যায়নপত্র দেন চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম তাতে মলফু সরদারের এক পুত্র রেখে মারা যান।
বিবাদীদের মানিত স্বাক্ষীগনের জবানবন্দিতে তার উল্লেখ করেন মলফু সরদারের এক ছেলে সাহা আলী সরদার কে রেখে মারা গেছে। অপরদিকে বাদীর মানিত স্বাক্ষী আমেনা বেগমের খেলার সাথী শুকুরন নেছা (১০০) পিতা- মোহন হাওলাদার গ্রাম – শ্রীরামদিয়া থানা নগরকান্দা তিনি বলেন মলফু সরদারের ১ ছেলে তার নাম সাহা আলী সরদার ও ১ মেয়ে আমেনা বেগম। আমেনা বেগম খেলার সাথী ছিলো। এছাড়া অন্যান্য মানিত স্বাক্ষীরা তাদের জবানবন্দিতে মলফু সরদারের মেয়ে আমেনার কথা উল্লেখ করেন।সাহা আলী সরদার এর বড় ছেলে আলেম সরদার বলেন আমার ফুফু আমেনা বেগম কে তারা বাদ দিয়ে ওয়ারিশ নামা করে কারন তার সম্পত্তির ভাগ যাতে দিতে না হয়।এছাড়া তিনি আরও বলেন আমেনা বেগমের একটি মেয়ে আছে তার নাম ময়না তাকে লালন পালন করে তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমরা সব ভাই মিলে বিয়ে দেই।ওয়ার্ড মেম্বার আবুল বশার চৌধুরী বলেন প্রথমে যে ওয়ারিশ সনদপত্র নিয়েছে সেখানে দুই জনের নাম রয়েছে তা সঠিক। কিন্তু ২ মাস পর যে ওয়ারিশ সনদপত্র নিয়েছে তাদে একজন এর নাম রয়েছে তা আমার ভুলবশত হয়েছে। আমেনা বেগম মলফু সরদারের মেয়ে। ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম বলেন ওয়ার্ড মেম্বার সহি করে দিয়ার পর আমরা স্বাক্ষর দেই, কবে কার স্বাক্ষর করি তা আমাদের মনে কি থাকে। ভুক্তভোগী ময়না বেগম বলেন আমার মা আমেনা বেগম এর পৈতৃক সম্পত্তি একমাত্র দাবিদার আদালতে মামলা করছি এবং নানা বাড়িতে অবস্থান করছি।এছাড়া বড় মামা মায়ের সম্পত্তি দিবে বাকি চার মামা সম্পত্তির ভাগ দিতে নারাজ,আমি এলাকার মানুষের ধারে ধারে ঘুরছি। মায়ের জমি পাইতে প্রশাসনে ন্যায় বিচার দাবি করছি।