বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
দেশের সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সকল কর্মস্থল স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরলেও কেসিসির অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের জায়গাতে অদ্যবধি ফিরে আসেনাই খুলনা নগর ভবনের নগরপিতা। তিনি সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগের মহানগরের সভাপতি পদে থাকার কারণে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র প্রধানের পথ থেকে পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে। ফলে চলমান পরিস্থিতিতে দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং প্যানেল মেয়রদের উপস্থিতিও নিশ্চিত করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গেল বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্তর্ভুক্ত এক অফিস এ আদেশ জারি করেছে। অপরদিকে খুলনা নগর ভবনের সংশ্লিষ্টকর্তাদের অভিযোগ দেশের প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে স্বাভাবিক গতিতে চলছে সরকারি বেসরকারি অফিস তবে খুলনা নগর ভবন চলছে নগর পিতা বিহীন সাথে নগরের ৩১ টি ওয়ার্ডের সকল কাউন্সিলরগণ রয়েছে অফিস বিহিন ঘরে বাইরে তার মধ্যে ২২ জনই সাবেক শাসক দলের সদস্য হওয়ার কারণে তারা এখন আত্মগোপনে। পাশাপাশি অন্য যে কয়জন কাউন্সিলরগণ রয়েছে তানারা ও অফিসিয়াল কার্যক্রম চালাচ্ছে নিজ নিজ বাড়িতে বসে তার কারণ ৫ আগস্ট সরকার পতন হলে বিক্ষিপ্ত জনতা ভাঙচুর করে নগরীর সকল কমিশনারের কার্যালয় লুটপাট করে অগ্নিসংযোগ করলে কার্যালয় গুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
ফলে নগর ভবন কর্তৃক অফিসগুলো সংস্কার করে আসবাবপত্র ব্যবস্থা না দেওয়া পর্যন্ত অফিসে বসে জনসেবা দেওয়ার মতন কোন পরিস্থিতি নাই ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে আরো জানাগেছে সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে গেছে খুলনার শতাধিক নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধি সর্বশেষ ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শহর জুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায় রাজনৈতিক দলের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা এক শ্রেণীর দুস্কৃতকারী চক্র।
আর সেই রেস ধরে কর্মস্থলে ফেরেনি বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধি এতে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেন সবাই না, কেউ কেউ, আছেন তবে আগামীকাল রবিবার অফিস শুরু হলে আমরা খবর নিচ্ছি যদি এরকম হয় তারা তো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে তাদের বিষয় নির্দেশনা আছে আমরা সেখানে লিখিত অভিযোগ করব ।
জানা গেছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কেসিসির মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক দেশজুড়ে ছাত্র জনতা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন আন্দোলনকারীদের বিরোধী কর্মকাণ্ড ও কটাক্ষ মন্তব্য করে বিভিন্ন সময় বক্তৃতা দিয়েছেন বিধায় এবং পরিস্থিতি বেসামাল বুঝে ৫ আগস্ট এর দুই তিন দিন আগের থেকেই আত্মগোপন গেলে ওই দিন সকালে খুলনা মহানগরীর আওয়ামী লীগের প্রধান দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় পাশাপাশি তার বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় প্রশাসন সেনাবাহিনী রোধ করে বিক্ষোভকারিদের।
অপরদিকে খুলনা ৬ টি সংসদীয় আসনের এমপিদের বাড়িতেও হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ এর ঘটনা ঘটলেও তার মধ্য উল্লেখযোগ্য ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শেখ মুজিবের ভ্রাতুষপুত্র খুলনা ২ আসনের এমপি শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের বাসভবন অর্থাৎ শেরেবাংলা রোডস্থ শেখ বাড়ি । আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বাদ যায়নি তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আঘাত হেনেছে বঙ্গবন্ধুর মোড়ালে প্রতিকৃতি ভাস্কর্য জেলা পরিষদ কার্যালয়। খুলনা প্রেসক্লাব খুলনা বেতারের সামনে বঙ্গবন্ধুর উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য সহ নগরজুড়ে আওয়ামী লীগের সকল কার্যালয়। তারপর থেকে সার্বিকভাবে শহরবাসীর মধ্যে চলছে চাপা আতঙ্ক স্বস্তিতে নাই নগরবাসী।