নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী শুরু

Spread the love

আনারুল ইসলাম,  কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

চারুকলা বিভাগের আয়োজনে চারদিনব‍্যাপী

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের নিচ তলায় এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। চারুকলা অনুষদের বছরব্যাপী প্রস্তুতকৃত শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়ে থাকে বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনীতে।

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় প্রদান ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নগরবাসী বর্মন এবং সঞ্চালনা করেন বিভাগটির সহযোগী অধ্যাপক মাসুম হাওলাদার।

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান বলেন, বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনীতে বছরজুড়ে শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম, তাদের শিক্ষা, প্রজ্ঞা ফুটে ওঠে। চিত্রের মাধ্যমে তথ্য এবং বিষয়বস্তু শিল্পী নতুনভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পায়। চিত্রকর্মের এই শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা আরো শাণিত হবে। এরকম আয়োজন তাদের কাজের স্পৃহা বৃদ্ধি করবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, মানুষের মনের আবেগ প্রকাশ করার ক্ষেত্রে অধিকতর যে শিল্পকর্মটি ব্যবহৃত হয়, সেটি হলো চারুকলা। চারুকলার ব‍্যপ্তি অনেক বড়। আধুনিক যুগে নাট্যকলা, চলচ্চিত্র, ভাস্কর্য, গ্রাফিক্স সবকিছুই চারুকলার অংশ হয়ে উঠেছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে চারুকলার প্রতি অনেক অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

উপাচার্য আরো বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগ আত্মার স্পন্দন। শরীরে আত্মা না থাকলে আমরা যেমন স্থবির হয়ে যাবো, তেমনি চারুকলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কাজ না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ও ইট-কাঠ-পাথরের মতো স্থবির হয়ে যাবে। মানুষের বৃদ্ধির জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, তেমনি চিত্তের জন্য চারুকলার প্রয়োজন। জাতি যখনই সংকটে পড়েছে, চারুকলা তখনি আশার আলো দেখিয়েছে। মানুষের বোধশক্তিকে জাগ্রত করেছে চারুকলা। আয়োজনের সাথে যুক্ত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে সৌমিত্র শেখর বলেন, বার্ষিক এই শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর মাধ্যমে নবীন শিল্পীদের দৃষ্টিভঙ্গি আরো প্রসারিত হবে।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পকর্মের জন্য বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরপর উপাচার্য ফিতা কেটে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং প্রদর্শনীর বিভিন্ন চিত্রকর্ম ঘুরে দেখেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *