মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নতুন ভবন নির্মাণ করতে চিহ্নিত চাঁদাবাজদের দিতে হয় চাঁদা। চাঁদা না দিয়ে কেউ ভবন নির্মাণ করতে পারে না। আর এই চাঁদা নির্ধারণ করে দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বিশ্বাস। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নে ঘটেছে এমন ঘটনা।
ভুক্তোভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নওমালা ইউপির পূর্ব নওমালা গ্রামের বাবুরহাট এলাকার আমির হোসেন মৃধার ছেলে দুলাল মৃধা ও হাবিব মৃধা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে থাকেন। সম্প্রতি দুলাল ও হাবিব নামের ২ প্রবাসী বাবুরহাট বাজারে ভবন নির্মান করতে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের অনুসারী মাঈনউদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকজন চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা না দিলে ভবন নির্মান করতে দিবে না বলেও হুমকি দেয় তারা। আজ সোমবার (১৩নভেম্বর) ছাদ ঢালাইয়ের প্রস্ততি নেয় প্রবাসী সহোদর। কিন্তু চাঁদা না দেয়ায় মাঈনউদ্দিন তার দলবল নিয়ে গতকাল রাত ১টার দিকে হামলা চালিয়ে সেন্টারিংয়ের বাঁশ ফেলে দেয়। এসময়ে ভুক্তোভোগী হাবিব সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। রাত ২টার দিকে বাউফল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে চলে আসে।
এর আগে চাঁদা দাবি করার বিষয়টি আমির হোসেন নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসকে জানান। চেয়ারম্যান কামাল তখন মিষ্টি খাওয়ার জন্য তার অনুসারীদের ১০হাজার টাকা দিয়ে দিতে বলেন। ভুক্তভোগী পরিবার চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গতকাল রাত ১টার দিকে মাঈনউদ্দিনের (৩৫) নেতৃত্বে মহিবুল(৪৫), রিয়াজ(৩০), হাসান(২৮), কামাল প্যাদা(৫৫), মাসুদ প্যাদা(২৭), জুয়েল হাওলাদার(২৫), রাকিব চৌকিদার(৩০), সাদ্দাম(২৮) দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নির্মাণাধিন ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বলেন, হামলার আশংকায় আমরা নির্মাণাধীণ ভবনে পরিবারের কয়েক সদস্য নিয়ে পাহারায় ছিলাম। রাত ১টার দিকে মাঈনউদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১২জন সন্ত্রাসী আমাদের উপরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময়ে মাঈনউদ্দিনের হাতে বন্দুক ছিল।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মাঈনউদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বিশ্বাস অভিযোগ অস্বীকার করে দেশ চ্যানেলকে বলেন, এটা স্থানীয় বিরোধ। আমি এখন ঘটনাস্থলে যেয়ে বিষয়টি দেখবো।
বাউফল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, এবিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।