বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সঠিক নিয়মে করে খুলনাকে একটি মডেল ও তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তুলবে বলে এমনটি প্রত্যাশা ছিল নগরবাসীর।
উল্লেখ্য গত ১২ জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পূর্বে নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক তার নির্বাচনী ইস্তেহারে নগরীর জলবদ্ধতা নিরসন ভাঙ্গাচুড়া সড়ক মেরামত সহ ড্রেন নর্দুমা নতুন করে নির্মাণ এলাকায় জমে থাকা পয়নিষ্কাশন করার ক্ষেত্রে নগর ভবনের কর্মীরা সর্বদা নিয়োজিত থাকবে এ সকল কথা উল্লেখ ছিল তানার নির্বাচনী ইশতেহারে ।
অথচ নবনির্বাচিত মেয়রের অনুপস্থিতিতে খুলনার উন্নয়নের কাজ চলছে একেবারেই ধীরগতিতে আর এ সকল কাজের ক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো সুযোগ বুঝে ব্যবহার করছে বাজারের নিম্নমানের সামগ্রী এতে লাভবান হচ্ছে ঠিকাদার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এমন অভিযোগ নগরবাসীর।
তারা বলছে মাত্র দুই মাস আগে সোনাডাঙ্গা নতুন রাস্তা দীর্ঘ-মহাসড়কটি প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার জুড়ে কারপেটিং করা হলেও সেটি এখন খানা খন্দরের সাবেক রূপে ফিরে এসেছে।
এলাকা বাসি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছে সরকারের এত টাকা খরচ করে দীর্ঘ সময় ধরে সড়ক কার্পেটিং এর কাজ শেষ করার মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে সড়ক জুড়ে ঢালাই উঠে বড় বড় খানা খন্দর পরিণত হয়েছে। এবং এত অল্প সময়ের মধ্য কিভাবে নষ্ট হয় এটা সাধারণ মানুষদের বোধগম্য হচ্ছে না । পাশাপাশি আরও একজন ইজিবাইক চালক বলেন এখানে যে পরিমাণে মাল মেডিসিন দেওয়ার দরকার ছিল সেই পরিমাণে দেওয়া হয় নাই যার কারণে এই অবস্থার পরিণত হয়েছে।
এদিকে নগরীর জোড়াকল বাজারের স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন এখানকার ভাই ভাই গলি থেকে মতিয়াখালী পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ নিয়ে চলছে নানান তাল বাহানা।
সঠিকভাবে নিয়ম অনুযায়ী কাজ না করায় ভবিষ্যতে এই ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের জন্য সমস্যা হবে। ওই এলাকা বাসি ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আরও জোড়ালো অভিযোগ করে বলেন ড্রেন ঠিকমতন না ভেঙ্গে সাবেক ড্রেনের উপর দিয়ে সামান্য ইট খোয়া রড সাজিয়ে লোক দেখানো নামে মাত্র ঢালাই দিয়ে দায় সারা কাজ করে তারা মোটা অংকের বিল হাতিয়ে নিচ্ছে সিটি কর্পোরেশন থেকে।
এ বিষয়ে এলাকার সাধারণ জনগণ বলছেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এখনো দায়িত্ব বুঝে না নেওয়ার সুযোগে ঠিকাদাররা এমন নিম্নমানের কাজ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে
তবে মেয়র ক্ষমতায় থেকে তিনি তদারকি করলে কাজের মান এতটা খারাপ হতো না।
তাছাড়া বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনের কর্তৃপক্ষরাও তেমন নজরদারি করছে না এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত না করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ না করার কথা বলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান প্রকৌশলী মশিউর রহমান খান।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন বর্তমানে এটা চলমান কাজ এই কাজ মানসম্মত হচ্ছে কিনা এবং কোন ত্রুটি আছে কিনা তা তদন্ত না করা পর্যন্ত বিল পরিশোধ করা হবে না।
যদিও তদন্তে ত্রুটি ধরা পড়ে সেই ত্রুটি দায়িত্ব রত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানদের সম্পূর্ণ করে দিতে হবে বলে তিনি ঠিকাদর প্রতিষ্ঠানদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।