সরদার রইচ উদ্দিন টিপু জেলা প্রতিনিধি ( নড়াইল)
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউপির দক্ষিন পাংখারচর কাজী পাড়া গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতুড়ি ও লাঠির আঘাতে এস এম বরকত আলী (৬০) নামে এক দলিল লেখকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে নড়াইল পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন নিহত বরকত আলীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিহত এস এম বরকত আলীর লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকালে বরকত আলীর নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত এস এম বরকত আলী দক্ষিণ পাংখারচর কাজী পাড়া গ্রামের মৃত আলফু শেখের ছেলে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিন পাংখারচর কাজী পাড়া গ্রামের এস এম বরকত আলীর সঙ্গে একই গ্রামের কেরামত মোল্যার দীর্ঘদিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ ধারা বিদ্যমান থাকায় আদালত লোহাগড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার (২৯আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিরোধপূর্ণ জমির সমাধানের জন্য ভূমি অফিসের নায়েবের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ দক্ষিন পাংখারচর কাজীপাড়া চৌরাস্তা বাজারে সালিশে বসেন। জমির কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে কেরামত মোল্যার ছেলে নেপাল ও রকির নেতৃত্বে রুনু, হামীম ও আমীনসহ ৮ থেকে ১০ জন হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে এস এম বরকত আলীকে গুরুতর আহত করেন।
স্থানীয়রা আহত এস এম বরকত আলী কে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক দিলরুবা খাতুন তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় প্রতিপক্ষের মৃুত্যুর এমন খবরে বৃদ্ধ কেরামত মোল্যা হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই সময় মারা যান। বুধবার সকালে নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার মোসাঃ সাদিরা খাতুন উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিন পাংখারচর কাজী পাড়া গ্রামে নিহত এস এম বরকত আলীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের অত্যান্ত আন্তরিকতার সাথে কথা বলেন, পরে তিনি উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্য করে বলেন আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
এব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন বলেন,পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে। এ রিপোর্ট লেখা পষর্ন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি ।