বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনায় পুলিশ ছাত্র সংঘর্ষ।
চলছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া টিয়ার সেল নিক্ষেপ ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করলেও উগ্রমুখী ছাত্ররা পুলিশের ওপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ইট পাটকেল ছুড়ে আন্দোলনের গতি আরো বেগবান করে তোলে এ সময় ছাত্রদের হাতে জাতীয় পতাকা মাথায় লাল কাপড় বেঁধে নিহত ছাত্রদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রণক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে খুলনা। দেশজুড়ে গণগ্রেপ্তার সাথে যে সকল ছাত্রদের বিনা কারণে আটক করে বন্ধি রাখা হয়েছে এবং ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দুই আগস্ট শুক্রবার জুম্মা নামাজের আগ থেকে খুলনা জেলার আশপাশের বিভিন্ন কলেজ ছাত্ররা সঙ্গবদ্ধ হয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে এসে আন্দোলনের সামিন হওয়ার চেষ্টা করলে প্রথমে নিউ মার্কেট চত্বর থেকে তাদের বাধা সৃষ্টি করা হয় ব্যারিকেড দেওয়া হয়। পরে নামাজের পরপরই ছাত্রদের উগ্রমুখী বজ্র স্লোগানে মুহূর্তের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা ব্যারিকেড ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয় ছাত্ররা। পরে তারা মিছিল আকারে স্লোগান দিতে দিতে নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে কেডিএ এ্যপ্রোস রোড হয়ে শিববাড়ি চত্বরে এসে জমায়েত হয়।পরে সেখানে ও ছাত্রদের স্লোগান ও মিছিলের সময়ে পুলিশের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এবং সেখান থেকে আন্দোলনরত ছাত্রদের আটক করার চেষ্টা করলে ছাত্ররা চড়াও হয়ে পুলিশদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে পরে সঙ্গবদ্ধ আন্দোলনরত ছাত্রদের মিছিলটি সোনাডাঙ্গা বাইপাস ও গল্লামারি হয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সামনে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ ছাত্রদের সাথে সমবেত হয়ে সেখানে মুহুর মুহুর স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রান্তে ছাত্র অন্য প্রান্তে পুলিশ ছাত্রদের আন্দোলন ছাত্র ভাঙ্গ করার জন্য বিভিন্ন পন্থায় ছাত্রদের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে ছাত্ররা পুলিশদের ধাওয়া করে একপর্যায়ে পুলিশ ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ সৃষ্টি হয় পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে ছাত্রদের ছাত্র ভঙ্গ করার চেষ্টা করে কিন্তু ছাত্ররা কিছুতেই পিছু না হেটে পুলিশের শত বাধা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুষলধারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন অব্যাহত রাখে এবং ছাত্রদের কথা আমাদের নয় দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থেকে আমরা এক পা ও পিছু সরে আসবো না। যতদিন আমাদের নয় দফা দাবি পরিপূর্ণভাবে পূরণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো রাজপথ দখল করব আন্দোলন করবো প্রয়োজনে স্বৈরাচারিনী সরকার হাসিনাকে উৎখাত করার জন্য যে কোন উপায় অবলম্বন করব তাতে প্রয়োজনের রক্ত যখন আমরা দিয়েছি রক্ত আরো দেবো আর দেশের সকল ছাত্রদের রক্ত মাড়িয়ে যদি সরকার তার নিজের ক্ষমতার মসনদের লালসায় অন্ধ হয়ে আমাদের বুকে গুলি চালাতে চায় আমরা বুক পেতে দেব আমরা মুগ্ধ আবু সাঈদের কাছ থেকে মরতে শিখেছি তাই আমরা নতুন মাথায় লাল কাপড় বেঁধে রাজপথে নেমেছি আমরা এখন জীবনের পরোয়া করিনা। কারণ পুলিশ এতটাই নির্মম সীমার মমত্বহীন তা আপনারা দেখেছেন গত পরশুদিন খুলনায় সামান্য আন্দোলনের মাধ্যমে অসংখ্য নিরীহ ছাত্রদের আটক করেছে এবং তার মধ্য আমাদেরই এক বোন আটক হয়ে পুলিশের প্রতি আত্মনাদ ভাবে বলেছে আঙ্কেল আমার মা-বাবা নেই আমার বোনকে তারার বন্দি করে ঘরে রেখে এসেছি আমাকে ছেড়ে দেন সেই আর্তনাদ ও সীমার পুলিশের কানে পৌঁছায়নি তাই আজ আমরা মূলত রাজপথে নেমেছি সকল রাত বন্দি ছাত্র ভাই-বোনদের অবনতি বিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য সারা দেশে প্রায় ২ শতর অধিক আমাদের ছাত্র ভাই বোনেরা পুলিশের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছে সে সকল নিহত ভাই-বোনদের আত্মার শান্তি কামনাতে আমরা রাজপথে রয়েছি ন্যায্য দাবি আদায় করার লক্ষ্যে আর এই ন্যায্য দাবি আদায় করতে পারলে শহীদ ভাইদের আত্মায় শান্তি পাবে সেক্ষেত্রে যে সকল পুলিশ বাহিনীর বন্দুক থেকে গুলি করে তাদের হত্যা করা হয়েছে সে সকল পুলিশদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে তাহলেই আমরা আন্দোলন ছেড়ে ঘরে ফিরব।