আব্দুল্লাহ আল মামুন পিন্টু টাঙ্গাইলঃ
টাঙ্গাইলের ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কার পেয়েছেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নুরুজ্জামান
জেলা পুলিশ কনফারেন্স রুমে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম সানতুর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন
পুলিশ জনতা, জনতাই পুলিশ। এই স্লোগানকে সামনে রেখে বর্তমান বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অর্জনের পাল্লা এখন সুনামের খাতায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। একজন নেতা যেমন কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যায়, একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছথেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আসেন। ঠিক একই ভাবে পুলিশ কর্মকর্তা মো.নুরুজ্জামান তার সহকর্মীদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নেন। শত বিপদে, প্রতিকূলতার মধ্যে যিনি বট গাছের ন্যায় আগলে রাখেন অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের। তিনি আর কেউ নন, তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গর্ভ পুলিশ উপ-পরিদর্শক নুরুজ্জামান। নিজ কমস্থানে পরিবর্তনের হাওয়া, কাজের গতিশীলতা, সফলতা সবকিছুর পেছনে এই মানুষটার অংশগ্রহণ। নাগরিক সেবা ও জন-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত তার সফলতা ও পরিশ্রম কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে অধিনস্ত পুলিশ সদস্যরা। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি করে অনেকেরই অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেন। অনেকের মোবাইল ফোন চুরি হয়। থানায় জিডি করার পর চুরি হওয়ার মোবাইল কিছু দিন পর তিনি নিজেই উদ্ধার করে মালিকের বাড়িতে গিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন এমন নজিরও রয়েছে। একজন মানবিক, নিষ্ঠাবান অফিসার ও অসাধারণ ভালো মানুষ এই পুলিশ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান। এমন অসংখ্য দিক নির্দেশনা তিনি তৈরি করে অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে বাস্তবায়ন করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া তিনি এখন টাঙ্গাইলবাসী তথা পুরো বাংলাদেশ পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এর কাছে একজন মানবিক এবং চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তিনি একজন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গর্ভ কর্মদক্ষতা, বিচক্ষণতা চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়াও তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করে বিপদগ্রস্ত মানুষকে সেবা প্রদান করা সহ অপরাধ দমনে অসীম সাহসী ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে। তিনি এরপূর্বে দেশের বিভিন্ন জেলায় একজন সফল পুলিশ উপ- পরিদর্শক হিসেবে খুব সুনামের সহিতে দায়িত্ব পালন করেছেন। অর্জন করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা। টাঙ্গাইল জেলায় দায়িত্ব পালনে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক কারবারি, ভূমিদস্যু, ডাকাতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান। সেখানে সকল শ্রেণির মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে তিনি নিজেই কথা বলে তাৎক্ষাণিক সমাধান করে দিয়েছেন। সফল এই পুলিশ কর্মকর্তাকে টাংগাইল জেলা ও টাঙ্গাইলবাসী সবসময় মনে রেখেছে এবং সহজে ভুলতে পারবে না বলেও জানান তারা। তাই একটি সুন্দর সমাজ বির্নিমানে টাঙ্গাইল জেলা ডিবির চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানের চেষ্টা অতি প্রশংসনিয়। উন্নতশীল ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে দরকার অপরাধ প্রবণতামুক্ত একটি সুন্দর সমাজ। কারণ তৃনমুলের জনপদ ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকে। সচল থাকে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। ফলে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে জনগনের ভাগ্য উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে কাজ করে বিশ্বের উন্নতশীল দেশ সমুহের দিকে তাকালে বাস্তবচিত্তে এমনটাই পরীলক্ষিত হয়।
সরকারের সফল উদ্যোগের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ এখন সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি সেক্টরে সমৃদ্ধি যেমন বাড়ছে, তেমনি জনগনের জীবন-যাত্রার মান্নোয়ন হচ্ছে। তবে এখনো আমরা কিছু কিছু নৈতিবাচক কাজের কারনে পিছিয়ে আছি। যার ফলে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে অশান্তি। উন্নয়ন সমৃদ্ধ একটি স্বর্নিভর বাংলাদেশ দেখতে চাইলে একটি সুন্দর সমাজ বির্নিমানের জন্য সবাইকে মাদক সহ অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ভুমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে জনমত তৈরী করে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে। নৈতিবাচক এসব কাজের ব্যাপারে বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থী বর্তমান প্রজন্মকে সচেতন করে তুলতে হবে। চাকরীর খাতিরে এর আগে টাঙ্গাইল জেলায় অনেক পুলিশ কর্মকর্তা এলেন-গেলেন, কিন্তু নুরুজ্জামান টাঙ্গাইল জেলায় যোগদানের পর থেকে নিজ কমস্থল ডিবিতে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশা-পাশি বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে তিনি। কি ভাবে অপরাধীকে কৌশলে অন্ধকার জগত থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে বেশ ভালোই জানেন সাহসী চৌকশ পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান। বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইলে যোগদানের পর থেকে আজ পর্যন্ত একটা লোকও বিনাদোষে গ্রেপ্তার হয়নি। নির্দোষ কাউকে ফাঁসাতে পারেনি কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি’রা। দোষী ব্যক্তি ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে পার পায়নি। কোন মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী অপরাধ করে তার হাত থেকে পার পাননি। অপরাধীকে আইনের আওতায় এনেছেন। কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি পুলিশকে ব্যবহার করতে পারেনি। তিনি
টাঙ্গাইল জেলা ডিবিতে থাকা কালিন কোন সাধারন মানুষকে লান্ছিত করে পার পায়নি কেউ, আর এই সফলতার মূল নায়ক বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক নুরুজ্জামান অপরাধ ধমনের সুপার হিরো খ্যাত। পুলিশের রুটিন ওয়ার্কের বাইরেও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন দেশ এবং জাতির কল্যাণের জন্য। তিনি একজন সৎ, নি:স্বার্থ, নির্লোভ, সহজ-সরল, মানবিক পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল ডায়ানামিক অফিসার হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলা, থানাসহ টাঙ্গাইল বাসীর নজর কেড়েছেন, স্থাপন করেছেন অনন্য উদাহরণ। তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইলবাসী তথা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কাছে একজন মানবিক চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। এছাড়াও এই মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামানের অনেক প্রশংসনীয় গুণাবলি রয়েছে। দেশপ্রেমিক ও মানবপ্রেমিক, সৎ, চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান।