মশিউর মিলন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে কেক দেয়া হয়নি তৃতীয় শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার ৬৮নং নাজিরপুর বাের্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে মুখ বন্ধ রাখলেও গতকাল বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের কাছে অভিযােগ করেন শিক্ষার্থীর বাবা।
শিক্ষার্থীর বাবা শফিুকল ইসলাম জানান, আমার মেয়ে ফাতেমাতুজ্জােহরা নাজিপুর বাের্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী। আমি একজন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য হওয়ায় আমার মেয়েকে নিজেই পড়ালেখার তদারকি করি। সে তৃতীয় শ্রেনীতে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অর্জণ করে সুনামের সাথে বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আসমা আক্তার আরজু ক্লাসের ফাঁকে প্রায়ই বাসায় প্রাইভেট পড়ার কথা বলে। আমার মেয়ে আমাকে বিষয়টি জানালে আমি ওই শিক্ষককে ৪র্থ শ্রেনী থেকে তার কাছে প্রাইভেটে দেয়ার কথা বলি। গত সােমবার শিক্ষক দিবসে কেক কেটে অনুষ্ঠান করা হয়। ওই সময়ে উপস্থিত সকল বাচ্চাদের কেক দিলেও ওই শিক্ষক আমার মেয়েকে বলে তুই আমার কাছে প্রাইভেট পড়োনা তােকে কেক দিবনা। ক্ষুদে শিক্ষার্থী ওই ঘটনায় উপস্থিত বাচ্চাদের সামনে লজ্জা পেয়ে বাসায় গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরে। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানালে আমাকে প্রথমবারের মতা ক্ষমা করে দিতে বলেন।
অভিযােগর বিষয়ে সহকারী শিক্ষক আসমা আক্তার আরজু জানান, কেক কাটার অনুষ্ঠান ছিল ঠিক। কিন্তুু ওকে এ ধরনের কথা বলছি সেটা সঠিক না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাছলিমা বেগম জানান, এই বিদ্যালয়ে আরজু একাই প্রাইভেট পড়ায়। তবে কি হয়ছে সেটা আমার জানা নাই।
এ বিষয় উপজলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, বাউফল উপজেলা প্রাথমিকের এই ঘটনা আমাকে কেউ জানায়নি।
ছবি- শিক্ষক আসমা আক্তার আরজু, গোল বৃত্তে