মো. মোরসালিন ইসলাম
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মৃত ব্যক্তির জানাজা শেষে খাবারের আয়োজনে অসুস্থ গরুর পচা মাংস সরবরাহ করেছেন কসাই আব্দুর রশিদের।
ফুলবাড়ী পৌর শহরের খিয়ার মির্জাপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে জানাযায় আসা লোকজনদের খাবারের আয়োজন করতে ফুলবাড়ী রেল গোমটিতে অবস্থিত অস্থায়ী গরুর মাংস বিক্রয় দোকানের মালিক কসাই আব্দুর রশিদের কাছে মাংসের অর্ডার দেন নুর ইসলাম বাবু।
শুক্রবার(১৪জুলাই) বিকেলে ৩৬ কেজি মাংস সরবরাহ করেন কসাই আব্দুর রশিদ।
মাংস নিয়ে যাওয়ার পর মাংস থেকে দুর্গন্ধ বের হলে প্রথমে ক্রেতারা ধারণা করেন হয়তো এটি পলিথিনে বা বস্তায় রাখার কারণে হয়েছে, বিষয়টি তারা এড়িয়ে গিয়ে মাংসগুলো রান্না করেন।
এদিকে ফুলবাড়ী পৌর মেয়র আলহাজ্ব মাহমুদ আলম লিটনকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিরামপুরের পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী অবগত করেন, বিরামপুর থেকে নিয়ে এসেছেন আব্দুর রশিদের ছেলে নাহিদ।
বিষয়টির খোঁজখবর নেন ফুলবাড়ী পৌর মেয়র মাহমুদ আলম লিটন, জানতে পারেন সেই গোশত সরবরাহ করা হয়েছে মৃত শহিদুল ইসলামের বাড়িতে, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে এই বাড়ির লোকজনকে অবগত করেন তারা যেন খাবারে মাংস পরিবেশন না করেন, এবং তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাংসের বিষয়ে বর্ণনা দেন।
পরদিন (১৫ জুলাই) শনিবার এই বিষয় নিয়ে ফুলবাড়ী পৌর মেয়র একটি শালিস ডাকেন, সেই শালিসে অসুস্থ গরুর পচা মাংস সরবরাহের বিষয়টি স্বীকার করেছেন কসাই আব্দুর রশিদ।
পরে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় আব্দুর রশিদকে।
বিষয়টি নিয়ে ফুলবাড়ীর বিভিন্ন জায়গায় গুঞ্জন উঠেছে।
মরা গরু এবং অসুস্থ গরুর পচা মাংস সরবরাহ বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে।
ফুলবাড়ীর গরুর মাংস বিক্রেতাদের এবং সরবরাহকারীদের উপর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।