মো. মোরসালিন ইসলাম
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পরিত্যক্ত জায়গায় বস্তায় আদা চাষ করে দ্বীগুন লাভের সপ্ন দেখছে এলুয়াড়ি ইউনিয়নের মোজাম্মেল হক এর ছেলে মুসাইতিরুল ইসলাম (মুন্না)।
মাত্র ১০ শতক জায়গায় ১৫০০ বস্তায় ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ করে আদা চাষ শুরু করেন মুন্না।
আদার চাষ ভালো হওয়ায় খরচের দ্বিগুণ লাভের স্বপ্ন দেখছেন সফল এই আদা চাষী।
আদা চাষের গল্প জানতে মুন্না সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান প্রথমে আমি আমার এক বন্ধুকে এভাবে বস্তায় আদা চাষ করতে দেখি, তার আদা চাষ দেখে আমিও উদ্বুদ্ধ হই। পরিত্যক্ত জায়গা গুলোতে বস্তায় আদা চাষ অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল।
সরাসরি জমিতে আদা চাষ না করে বস্তায় কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে মুন্না জানান জমিতে আদা চাষ করলে বৃষ্টি জমে আদায় পচন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, জমিতে আগাছা বেশি হয়, আদার বিভিন্ন রোগ বালাই বেশি হয়, সেই তুলনায় বস্তায় আদা চাষ করলে পানি জমে আদায় পচন থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়, পাশাপাশি অন্যান্য রোগ বালাই থেকেও আদা নিরাপদ থাকে, যার কারণে ফলন ভালো হয় এবং আদার দানা ভালো হয়।
মুন্নার আরো জানান আমার এই আদা চাষকে আমি বেকার যুবকদের কাছে রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরাতে চাই, পরিত্যক্ত জায়গা গুলোতে এভাবে আদা চাষ করে বেকার যুবকরা বছরে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা আয় করতে পারবে। আমরা চাকুরীর পিছনে না ছুটে নিজেদের আশেপাশের পরিত্যক্ত জায়গায় এভাবে আদা চাষ করে সফল হতে পারি।
মুন্না এই আদা চাষ দেখে এলাকার অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন, তাদেরকে সহযোগিতা করতে সবসময় প্রস্তুত রয়েছেন মুন্না।
বেকাররা উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেরাই উদ্যোক্তা হবেন এমনটাই আশা রাখেন সফল আদা চাষী মুন্না।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রুম্মান আক্তার বলেন জমিতে আদা চাষের চেয়ে বস্তায় আদা চাষ অনেক লাভজনক, বস্তায় আদা চাষে পচন থেকে আদা অনেক নিরাপদ থাকে,এতে কৃষিক বেশি লাভবান হবে।
কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।