মিলন হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া-
বগুড়া সদর উপজেলা শেখেরকোলা ইউনিয়নের নুড়ুইল মধ্যপাড়ার মুকুলের স্ত্রী টিকটকে নাচের ভিডিও ফেসবুকে পোষ্ট করা কে কেন্দ্র করে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্য ঝগড়া সৃষ্টি হয়। পরে মুকুল তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ হত্যা করে টয়লেটের হাউজে লাশ লুকিয়ে রেখে মিথ্যা অপপ্রচার চালায় স্ত্রী মারুফা অন্যের সাথে পালিয়ে গেছে। বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা ছায়া তদন্তের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর ) দিনগত রাতে উপজেলা শেখেরকোলা ইউনিয়নের নুড়ুইল মধ্যপাড়ার শাহজাহান আলীর ছেলে মুকুল মিয়া (৩১) কে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে। নিহত ব্যক্তি হলেন, একই উপজেলার লাহিড়ি পাড়া ইউনিয়নের নন্দীপাড়ার মাহবুব এর মেয়ে মারুফা (২৫)।
গত (১৩ ডিসেম্বর) শনিবার রাতে নিহত মারুফা তার চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে বর্তমান সমাজে প্রথা চালু হয়েছে, নাচ গানের মাধ্যমে টিকটকের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিমানী স্বামী মুকুল তার স্ত্রী মারুফাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
মারুফাকে হত্যা করার পরে টয়লেটের হাউজে লাশ রেখে হাউজের মুখ বালু, খোয়া, সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে মুকুল মিয়া।
মুকুল নিহত মারুফার আত্মীয় স্বজনদের জানায়, মারুফা অন্যের সাথে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর গত (১৫ ডিসেম্বর) তারিখে সবার চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য মারুফার স্বামী চতুর মুকুল মিয়া বগুড়া সদর থানায় বাদী হয়ে স্ত্রী নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ছায়া তদন্ত শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে মুকুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ঘাতক মুকুলের তথ্যের ভিত্তিতে তার নিজ বাড়ির টয়লেটের হাউজ থেকে নিহত মারুফার মরদেহ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় আসামীর মুকুল মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের সহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
আসলেই কি টিকটকে ভিডিও নিয়ে বিবাদের কারনে খুন হন এই গৃহবধূ নাকি পরকীয়ার কারনে নাকি অন্য কিছু ? প্রশ্ন থেকেই গেলো।

