মিলন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি-
মোঃ জামাল হোসেন (৩৭), পিতা- মৃত বাছেদ আলী, সাং- কচুয়া, থানা- সখিপুর, জেলা- টাঙ্গাইল।
গত ২৩ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা হতে ২২টি গরু ক্রয় করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নীলফামারী জেলার জলঢাকা বাজারে যান। পথিমধ্যে গত ২৪ জানুয়ারি রাত্রি অনুমান ২ টা ৩০ মিনিট শিবগঞ্জের রহবল গ্রামস্থ দোসীমানা ইটভাটার নিকট পৌঁছলে ডাকাত দল বহনকারী একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কার করে তাদের গরুবাহী ট্রাকের সামনে এসে গতিরোধ করে ট্রাক থামিয়ে ট্রাকে থাকা ব্যক্তিদের হাত পা বেধে জমিতে ফেলে রেখে গরু নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে, ভিকটিম বাদি হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন যার প্রেক্ষিতে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে মামলা নং-২৮, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হয়।
এ ধরনের ডাকাতির ঘটনায়, র্যাব-১২, সিপিএসসি বগুড়ার আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় আজ শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার আলাদিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পিতা মৃত জলিল এর পুত্র মোঃ তাহাজ্জুল ইসলাম (৩৮) কে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত
১টি জ্যাকস্ক্রু, ১টি রেঞ্জ, ১টি হাতুরি, ১টি লোহার পাইপ সহ গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য যে, ধৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবত ডাকাতির কাজে জড়িত। ধৃত আসামীর নামে বগুড়া জেলার সদর থানায় ৬টি, নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় ২টি, বগুড়া শাজাহানপুর থানায় ২টি, রংপুর জেলার কাউনিয়া থানায় ১টি, জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানায় ১টি, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় ১টি, জয়পুরহাট কালাই থানায় ১টিসহ সর্বমোট ১৪টি চুরি, ডাকাতি, ডাকাতি প্রস্তুতি ও অন্যান্য অপরাধজনিত মামলা রয়েছে মর্মে জানা যায়।
ধৃত ব্যক্তি একটি সংঘবদ্ধ গরু ডাকাতি চক্রের সর্দার। এই চক্রের কয়েকজন সক্রিয়ভাবে ডাকাতি করে, কয়েকজন ডাকাতিকৃত মালামাল অন্যত্র পরিবহন করে নিয়ে যায়, আর অন্যান্য সদস্যরা লুন্ঠনকৃত মালামাল বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে। ধৃত ব্যক্তি এ যাবত ৫/৬ শত গরু চুরি/ডাকাতি করেছে মর্মে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হবে।