মিলন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:
বগুড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক মারধর ও হত্যা চেষ্টার মামলায় সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার ভোরে তাদের বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে র্যাবের একটি গোয়েন্দা দল তাদের গ্রেফতার করে।
এদিকে, গ্রেফতার হওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাহদারা মান্নানের ভাই।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন-
মো: লিমন (৩২),
মো: রায়হান (২৮), মো: রানা (২৬),
মো: রাজন (৩৫) এবং নিপুন (২৮)। গ্ৰেফতারকৃত সবাই সোনাতলার জোড়গাছা এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি দুপুরে র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
মামলার বরাতে র্যাব সূত্র জানায়, রোববার রাতে ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক রেজওয়ানুল রিজভীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে রিজভী ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরই সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে রিজভীর স্ত্রী নাহিদ নাসরিন সাথী বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামন লিটন ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিনসহ ৭ জনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করে। এই মামলায় আগাম জামিন নেয়ার উদ্দেশ্যে গোপনে সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান লিটন ও অন্যরা ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
বগুড়া র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, গ্রেফতার আসামিরা বগুড়া থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। গোপন তথ্যের র্যাব-১২ হেড কোয়ার্টার্সের একটি গোয়েন্দা দল বঙ্গবন্ধু সেতুর আগে মহাসড়ক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এবং পরে তাদেরকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়ার ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ভোরে তাদের হস্তান্তর করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া মেনে তাদের আদালতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।