আব্দুল গাফফার শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী এক নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত মোক্কাস আলী শেরপুর থানা পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত রয়েছেন। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিক খান। এর আগে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ের দড়িমুকুন্দ গ্রামের বাসিন্দা মোছা: রুবি আক্তার উর্মী বাদি হয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি কিছু ব্যক্তি রুবি আক্তারের বোন উর্মীলা খাতুনের জায়গা দখল করেন ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে উর্মীলা খাতুন গত ৬ ফেব্রুয়ারি শেরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আর ওই অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব পান শেরপুর থানা পুলিশের এএসআই মোক্কাস আলী। দায়িত্ব পেয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে উর্মীলা খাতুন ও রুবি আক্তারের কাছ থেকে দুই দফায় তেল খরচ বাবদ দুই হাজার টাকা নেন।এদিকে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মোক্কাস আলী হোয়াটসঅ্যাপে রুবি আক্তার কে ফোন দেন। কথা শেষে অসাবধনতাবশত ফোনটি না কেটে রেখে দেন পুলিশের এএসএ মোক্কাস আলী। রুবি আক্তার অপর প্রান্ত থেকে বিবাদীদের সঙ্গে মোক্কাসের কথোপকথন শুনতে পান। এ সময় তিনি শুনতে পারেন,এএসআই মোক্কাস আলী বিবাদীদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করছেন এবং তাদের পক্ষে কাজ করার কথা বলছেন। অভিযোগকারী রুবি আক্তার বলেন, রবিবার সকালেও এএসআাই মোক্কাসের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমার বোনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা না নিয়ে বিবাদীদের কাছে এক শতক জায়গা বিক্রি করে আপোষ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে ঘুষ নেওয়া ও তদন্তে পক্ষপাতীত্বের কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত এএসআই মোক্কাস আলী। তিনি বলেন,আমি যথাযথ নিয়ম মেনে তদন্ত করেছি বিষয়টি নিয়ে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে থানায় বৈঠক করার কথা হয়েছে ।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মোক্কাস আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।