আব্দুল গাফ্ফার
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে অবরোধের সমর্থনে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে। সোমবার (৩০অক্টোবর) বিকেলে শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়া মিছিলটি মহাসড়কে উঠতেই পুলিশ তা আটকে দেয়। পরে মহাসড়কের পাশে পুলিশ ব্যারিকেডের মধ্যেই সমাবেশ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপজেলা বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলাম মিন্টু, পিয়ার হোসেন পিয়ার, জিএম মোস্তফা কামাল, আব্দুল মোমিন, মামুনুর রশিদ আপেল, শফিকুল ইসলাম আরফান, হাফিজুর রহমান হাফিজ, যুবদল নেতা আশরাফুদ্দৌলা মামুন, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা শাহ কাওছার আহমেদ কলিন্স, কৃষকদল নেতা আবু সাঈদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বক্তারা বিএনপি ঘোষিত আগামি তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আহবান জানান। পাশাপাশি এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার জন্য নির্দেশনাও দেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকায় একদফা দাবিতে ডাকা বিএনপির সমাবেশে হামলা, দলের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় একাধিক নেতাকর্মীর মুক্তিসহ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। আর সেই কর্মসূচির সমর্থনে সোমবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে উঠতেই পুলিশ তা আটকে দেয়। পরে সেখানেই অনেকটা পুলিশি ব্যারিকেডের মধ্যেই সমাবেশ করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু বলেন, দেশে সাধারণ নাগরিকের কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। তাদের ভোটাধিকার ও আইনের শাসন নেই। তাই এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্যই দেশের জনগণ তাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছেন। কিন্তু এসব শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে পুলিশ বাধার সৃষ্টি করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় অবরোধের সমর্থনে বের হওয়া মিছিলেও পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মিছিলে বাধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আজমগীর হোসেন বলেন, মহাসড়কে মিছিল করা হলে যানচলাচল বিঘ্নিত হতে পারে। এছাড়া যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিএনপিকে মহাসড়কে কোনো মিছিল করতে দেওয়া হয়নি বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।