বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবনী ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসই অসমাপ্ত।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের নিপীড়িত জনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বাংলাদেশ স্বাধীনতার অন্যতম রূপকার নেতা বাঙালি জাতির অদম্য মুকুটহীন সম্রাট।
আর সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইয়াহিয়া খানের বাহিনী দেশ স্বাধীনের একেবারে ক্রান্তি লগ্নে তাদের সুকৌশলে পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাবন্দি করে রাখে এ দেশেরই জনপ্রিয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে।
অতঃপর যুদ্ধোত্তর বিভিন্ন দেশের সিংহ পুরুষ রাষ্ট্রপ্রধানদের চাপে এবং বাঙ্গালীদের আন্দোলনের তোপের মুখে বাধ্য হয়ে পাকিস্তানি সরকার স্বসম্মানে জাতির পিতাকে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। এবং ঐদিন পাকিস্তানের কারাগার থেকে শেখ মুজিব মুক্তি পেয়ে সর্বপ্রথম লন্ডন যান এবং সেখান থেকে দিল্লী হয়ে বাংলাদেশে ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে বাঙালি জাতির ভবিষ্যৎ সমুজ্জ্বল করতে অসহায় বাঙ্গালীদের বুকে টেনে নিয়ে তিনি দৃঢ় অঙ্গীকারের সাথে বলেছিলেন এদেশ হবে সোনার বাংলাদেশ,
এ দেশ হবে ক্ষুধা-দরিদ্র নিরক্ষর মুক্ত উন্নত বাংলাদেশ।
এবং সেদিন থেকেই বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষেরা দিনটিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে আর তারই প্রত্যয়ে আজ খুলনা আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন এর নেতাকর্মীরা সাথে প্রশাসনিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পজ স্তবক অর্পণ করে দিনটির শুভ সূচনা করেন।
এ সময় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবদ্দশার বিভিন্ন স্মৃতির উপর আলোকপাত এর ওপর আলোচনা করে বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী পক্ষ সর্বদাই বাংলাদেশের বিপক্ষে থেকে পাকিস্তানি দোষরদের সাথে হাত মিলিয়ে নীল নকশার মাধ্যমে এ দেশকে সর্বদাই পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেছে এবং এদেশে থেকে দেশের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও পাকিস্তানীদের সাথে পরম সক্ষতা রেখে দেশের ক্ষতি সাধনে লিপ্ত থেকে যত সব অপকর্ম করে এবং অন্যান্য ভিনদেশীদের সাথে চক্রান্ত করে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা কে স্বপরিবারে হত্যা করে এ দেশকে তথা দেশের জনগণকে অভিভাবক শূন্য করেও ক্ষান্ত হয়নি তারা।
প্রকাশ্য স্বাধীনতা বিরোধী দল আজও হিংসাত্মক অবলীলায় মেতে রয়েছে। স্বাধীনতা স্বপক্ষের অন্যতম দল আওয়ামী লীগের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন আদর্শ বাস্তব উন্নয়ন করে দেশের আপমর জনতার পাশে থেকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে তার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সক্ষমতা অর্জন করেছে।
আর সেই সাফল্যতার ধারাবাহিকতায় আজ পঞ্চম বারের মতো সংসদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারো দায়িত্বভার গ্রহণ করে বাংলাদেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে অতপ্রতভাবে কাজ করে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র দেশের জাতীয় সম্পদ একের পর এক বিনষ্ট করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ চলন্ত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে মানুষের জানমালের ক্ষতি করার পরও তারা এদেশেরই জনগণের নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পদত্যাগ এর আশা কামনা করে।
তবে এদের সকল অপচিন্তাধারা নস্যাৎ করে দুর্বার গতিতে দেশকে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে আমরা আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা সম্মুখ পদার্পণের সারা বিশ্বের বুকে মাধ্যমে খুদা দরিদ্র ও নিরক্ষর মুক্ত একটি রোল মডেল মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।