তুষার কবিরাজ (খুলনা)প্রতিনিধি
বটিয়াঘাটা উপজেলার বটিয়াঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজিত বাগচীর অবহেলা ও অসহযোগিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।ঐ পরিবার বলছে প্রধান শিক্ষক বা স্কুলের পক্ষ থেকে তাদের কোন খোজ খবর নেয়া হচ্ছে না। এ দিকে ঐ ঘটনায় শ্লীলতাহানি চেষ্টাকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভূমিহীন সংগঠন ও এলাকাবাসী গত ইং ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে উপজেলা চত্বরে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়,গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর বেলা আনুমানিক ১১টার সময় স্কুলের পার্শ্ববর্তী ঘেরের মালিক নারায়ণ মন্ডল (৬১) শ্রেয়া(ছদ্দনাম)কে শসা খেতে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘেরের বাসায় ডেকে নিয়ে তাকে দু’টি শসা ও ১০টি টাকা দেয় এবং শ্রেয়া কে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। তখন শ্রেয়া দৌড়ে বাসা থেকে বের হয়ে এসে তার ঠাকুরমা কে শ্লীলতাহানির বিষয়ে খুলে বলে। শ্রেয়ার ঠাকুরমা ঘটনাটি স্কুলের এক শিক্ষিকাকে জানালে তারপর একে একে সবাই জানতে পারে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রেয়ার ঠাকুরমামা বলেন, শ্রেয়ার দুই বান্ধবী দৌড়ে এসে আমাকে বলে ঠাকুরমা এদিকে আসো, দেখো শ্রেয়ার কি হয়েছে। তখন আমি ওদেরকে নিয়ে স্কুলের পিছনে গেলে শ্রেয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে এবং ভয়ে কাঁপতে থাকে। কি হয়েছে? জানতে চাইলে বলে নারায়ণ দাদু আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। তখন আমি বিষয়টি স্কুলের এক শিক্ষকাকে জানাই। এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য অলোকেশ বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যাই এবং ঘটনাটি শুনি। তাৎক্ষণিক বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানাই। এ বিষয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে একটি মানববন্ধন করেছে। উক্ত মানববন্ধনে অংশ নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে বারবার অনুরোধ করা হলেও তিনি আসেননি এবং এটা তাদের কোন কর্মসূচির আওতায় পড়েন না বলে জানান। শিক্ষকের এ ধরনের অসহযোগিতা আমাদের কাম্য নয়। এতে এলাকাবাসী শিক্ষকের এ ধরনের আচারনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক অজিত বাগচী বলেন, ঘটনাটি শোনা মাত্র আমি ঐ ছাত্রীর অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ সহ ম্যানেজিং কমিটিকে জানাই। এ.টি.ও ম্যাডাম বিষয়টি তদন্ত করেছেন। শুনেছি এলাকাবাসী একটি মানববন্ধন করেছে। ভুক্তভোগীর পাশে না থাকা ও সহযোগিতায় এগিয়ে না আসা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমি আমার উর্ধ্বতন অথোরিটির বাইরে কিছু করতে পারিনা।এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ০৩। তিনি আরোও বলেন গত ইং ৭ সেপ্টেম্বর খুলনার এডিঃ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় ভুক্তভোগীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।আসামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।